|
এনায়েতপুরে শ্রমিক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত
মো. সিয়াম হোসেন, এনায়েতপুর
|
![]() এনায়েতপুরে শ্রমিক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, এনায়েতপুর থানা শাখার সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আইয়ুব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও নায়েবে আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা এবং সিরাজগঞ্জ–৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ অধ্যক্ষ মো. আলী আলম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন— “শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতির বিকল্প নেই। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন এবং নেতৃত্ববান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বদা শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন— “আমরা জনগণের সঙ্গে সবসময় সম্পৃক্ত থাকি— এটি শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরেও জনগণের কল্যাণে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা। আমরা কোনো টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ বা চাঁদাবাজ নই; বরং ন্যায্যতা, সমতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি, যেখানে প্রত্যেকে তার প্রাপ্য অধিকার ভোগ করবে। আর এজন্য দাঁড়িপাল্লার কোনো বিকল্প নেই।” তিনি জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান— “আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিকে সরকার গঠনের সুযোগ দিন।” আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শাহজাদপুর উপজেলা শাখা এবং সিরাজগঞ্জ–৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী। তিনি বলেন— “শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রে ইসলামী শ্রমনীতিই একমাত্র সঠিক পথ। এই ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠার ধারাকে অব্যাহত রাখতে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণের সরকার গঠনের সুযোগ দিতে হবে।” বক্তারা আরও বলেন— “অতীত থেকেই শ্রমিকরা শোষিত হয়ে আসছে, তবে গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শ্রমিক ভাইয়েরা আরও বেশি শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন অতীতের মতো ভবিষ্যতেও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তৎপর থাকবে।” বক্তারা একবাক্যে বলেন— “শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সুষম বণ্টন, দুর্নীতিমুক্ত ও টেন্ডারবাজমুক্ত দেশ গঠন এবং ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে দাঁড়িপাল্লার কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের বিজয়ের লক্ষ্যে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে হবে।” অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
