কাঁচা ও আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর
নতুন সময় ডেস্ক
|
সহজলভ্য খাবারের মধ্যে অন্যতম ডিম। সাধারণ কিংবা উৎসব-আয়োজনের বড় বড় অনুষ্ঠানে থাকে এই ডিমের পদ। কেউ ডিম ভুনা, কেউ অমলেট, সেদ্ধ, আবার কেউ সবজির সঙ্গেও খেয়ে থাকেন। উপকারী খাবার হওয়ায় ডিম খাওয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয়। উপকারী এই খাবার নিয়েও কিছু মানুষের মনে ভুল ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ আবার বিতর্কেও জড়ান। অনেককে বলতে শোনা যায়, রান্না বা সেদ্ধ ডিমের থেকে কাঁচা ডিম নাকি বেশি উপকারী। এতে পুষ্টি গুণাগুণ বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু আসলেই কি তাই? এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম: স্বল্প দামে ডিমের থেকে অন্য কোনো কিছু নেই যা উপকারী খাবার। বিশ্বজুড়ে ডিমের চাহিদা রয়েছে। এটি হচ্ছে ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের ভান্ডার, আবার ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের উৎস। এ জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখতে পারেন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। কাঁচা ডিম কি আসলেই উপকারী: এ ব্যাপারে ডা. আশিস মিত্র বলেন, অনেকেরই ধারণা কাঁচা ডিম খেলে বোধহয় পুষ্টি বেশি। কিন্তু এই ধারণার কোনো বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি নেই। বরং কাঁচা ডিমে আরও সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এতে পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও হতে পারে। আর পুষ্টিগুণও খুব একটা মিলে না। এ জন্য কাঁচা ডিম না খাওয়াই ভালো। ব্যাকটেরিয়ার সম্ভাবনা: কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে সালমোনেল্লার মতো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যাকটেরিয়া শরীরে একবার প্রবেশ করলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে। অনেক সময় ডায়রিয়াও হয়। আবার অবিরত বমিও হয়ে থাকে। এ জন্য কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়। তবে ডিম সেদ্ধ করে খেতে পারেন। এতে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে। একই সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজের চাহিদাও মিটবে। হাফ বয়েল ডিমেও ঝুঁকি: হাফ বয়েল বা আধা সেদ্ধ ডিমের প্রেমে অনেকেই পাগল। এ জন্য প্রতিদিনই আধা সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। আধা সেদ্ধ ডিমেও খুব একটা উপকার পাওয়া যায় না। বরং এতে আরও গ্যাস ও অ্যাসিডিটি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় পেটের বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। শুধু আধা সেদ্ধ নয়, ডিম পোচ ও অমলেটও এড়িয়ে চলা ভালো। বরং পুরো সেদ্ধ করে ডিম খান। এতেই নিরাপদ ও উপকারী। দিনে কয়টি খাবেন: একজন সুস্থ মানুষ দিনে পুরো ১টা ডিম খেতে পারেন। এতে সমস্যা হওয়ার কিছু নেই। আবার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল থাকলেও দিনে একটি করে ডিম খেতে পারেন। কিন্তু হার্টের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন কুসুম সেদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না। তারা সপ্তাহে তিনদিন তিনটি ডিম খেতে পারেন। তবে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন। এছাড়া কোনো সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খেতে পারেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |