|
কটন বাড ব্যবহার যেসব কারণে ক্ষতিকর
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() কটন বাড ব্যবহার যেসব কারণে ক্ষতিকর কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ইএনটি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, কানের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য কটন বাড ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। এই অভ্যাসের কারণে কী কী মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা নিচে আলোচনা করা হলো। কানের ওয়াক্স ভেতরে ঠেলে দেওয়া কানের ওয়াক্স বা ‘সেরুমেন’ হলো কানকে সুরক্ষিত রাখার জন্য শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করতে গেলে ওয়াক্স বাইরে আসার পরিবর্তে তা আরো ভেতরের দিকে ঠেলে যায়। সমস্যা : ওয়াক্স কানের গভীরের অংশে জমে গেলে তা শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ এবং সাময়িকভাবে কম শোনার সমস্যা হতে পারে। কানের পর্দায় আঘাত এটি কটন বাড ব্যবহারের সবচেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটি। সমস্যা : কটন বাড অসাবধানতাবশত বা খুব জোরে কানের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলে তা কানের সংবেদনশীল পর্দায় আঘাত করতে পারে। কানের পর্দা ফেটে গেলে তীব্র ব্যথা, রক্তপাত, কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে স্থায়ী বধিরতাও হতে পারে। সংক্রমণ ও প্রদাহ কানের ভেতরে ত্বক খুবই পাতলা এবং সংবেদনশীল। সমস্যা : কটন বাড ব্যবহারের সময় সেই ত্বকে ছোটখাটো ঘর্ষণ বা আঘাত লাগতে পারে। এই আঘাতের স্থানগুলোতে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, যা ‘সুইমার্স ইয়ার’ বা ওটিটিস এক্সটার্না নামে পরিচিত। এর ফলে কান লাল হয়ে যায়, ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ওয়াক্সের প্রাকৃতিক কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া কানের ওয়াক্স বা সেরুমেন স্বাভাবিকভাবেই কানকে ধুলাবালি, ময়লা ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি নিজেই নিজেকে পরিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে। সমস্যা : কটন বাড ব্যবহার করে এই ওয়াক্স অতিরিক্ত পরিমাণে বের করে দিলে কান তার প্রাকৃতিক সুরক্ষা হারায়। এর ফলে চুলকানি বা সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ : ইএনটি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কান পরিষ্কার করার জন্য কটন বাডের কোনো প্রয়োজন নেই। কানের ওয়াক্স সাধারণত কথা বলার সময়, চিবানোর সময় বা হাঁটার সময় আপনা আপনিই বাইরে চলে আসে। যদি কানের ওয়াক্স নিয়ে গুরুতর সমস্যা হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ড্রপ ব্যবহার করা উচিত বা চিকিৎসকের মাধ্যমে পেশাদার উপায়ে কান পরিষ্কার করানো উচিত। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
