|
‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল!
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! ![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা আরিফুর রহমান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সুবিধাভোগী ছিলেন। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রাতারাতি তিনি নিজেকে ‘জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা’ দাবি করলেও এটি তার কেবল মুখোশ। এনইআইআর বিরোধিতার নামে তিনি আসলে সাবেক সরকারি অপশক্তি ও অবৈধ চোরাইফোন সিন্ডিকেটকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছেন। ![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! ২০২১-এ সমর্থন, ২০২৫-এ উল্টো কথা হঠাৎ কেন? তথ্য অনুযায়ী, আরিফুর রহমান রিজওয়ান কমপ্লেক্সের ‘আমিন স্টোর’-এর মালিক। একইসঙ্গে তমাকুণ্ড লাইন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতি এবং চট্টগ্রাম মেট্রো মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির পদ তিনি দখলে রেখেছেন। অভিযোগ, পূর্ববর্তী সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় এবং প্রশাসনের একাংশকে ম্যানেজ করে এসব পদ তিনি নিজের কব্জায় নেন। ![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! একটি সূত্র বলছে ২০২১ সালে এনইআইআর তার জন্য কোনো হুমকি ছিল না, কারণ তখন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল শক্তিশালী। এখন অন্তর্বর্তী সরকার অবৈধ আমদানি ও চোরাইফোন সিন্ডিকেটে কঠোর হওয়ায় বিপদে পড়েছেন তিনি। তার পেছনে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ মোবাইল ফোনের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্রে-মাফিয়া সিন্ডিকেট—যারা এনইআইআর চালু হলে বাজার থেকে প্রায় হারিয়ে যাবে। ‘জুলাই যোদ্ধা’ নাকি আ.লীগের ছদ্মবেশী সৈনিক? রিয়াজউদ্দিন বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আরিফুর রহমান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বহু ছবি ও ভিডিও এখনো রয়েছে। এসব মুছে ফেলতে না পেরেই তিনি এখন ‘জুলাই যোদ্ধা’ সেজে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। ![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! ব্যবসায়ীরা বলছেন এটি নিছক ব্যবসায়ী আন্দোলন নয় বরং একটি গভীর রাজনৈতিক খেলা। এনইআইআর চালু হলে অবৈধ বাজার ধ্বংস হয়ে যাবে, আর তার সঙ্গে যুক্তদের রাজনৈতিক প্রভাবও কমে যাবে। তাই তিনি বাজার বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নতুন সরকারকে অজনপ্রিয় করতে চাইছেন। আরিফুর রহমান সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভুল তথ্য দিয়ে মাঠে নামাতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ সালে যে উদ্যোগ তার কাছে ‘বাজারের জন্য ভালো’ ছিল, সেটিই ২০২৫ সালে হঠাৎ করে ‘খারাপ’ হয়ে গেল। ![]() ‘জুলাই যোদ্ধা’ না ছদ্মবেশী আওয়ামী সৈনিক? এনইআইআর ঠেকাতে আরিফুরের কৌশল! সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চরিত্রহনন অভিযোগ রয়েছে এনইআইআর বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা নেওয়ায় আরিফুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়বকে টার্গেট করে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সিন্ডিকেটের স্বার্থে ধাক্কা লাগায় তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়িয়েছেন এবং পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস বলেন, মোবাইল ব্যবসায়ীরা এনইআইআর-এর বিরুদ্ধে নয়, তবে ৫৭ শতাংশ কর দিতে হবে তাদের—আর মাত্র ৭-৮ জন ব্যবসায়ী নামমাত্র কর দিয়ে বিক্রি করবে—এ ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরোধিতা করছেন তারা। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান তাদের আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছেন; তার আগের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। চট্টগ্রাম মেট্রো মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও নতুন সময় তার মন্তব্য জানতে পারেনি। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
