|
স্পিনিং সেক্টরে সংকট গভীরতর: ভারতীয় সুতা ও গ্যাসের দামই প্রধান বাধা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() স্পিনিং সেক্টরে সংকট গভীরতর: ভারতীয় সুতা ও গ্যাসের দামই প্রধান বাধা শনিবার (২৫ অক্টোবর) রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতরের কাউন্সিল হলে “স্পিনিং সেক্টরের বর্তমান সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইইবি’র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম এবং প্রধান অতিথি ছিলেন আইইবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ। তিনি বলেন, “স্পিনিং সেক্টরের সবচেয়ে বড় সংকট ভারতীয় সুতা ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। গার্মেন্টস মালিক এবং স্পিনিং মিল মালিকদের মতপার্থক্য রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ সমাধান বের করতে হবে।” মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরমাডা স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, ভারত উৎপাদন খরচের নিচে সুতা রপ্তানি করে বাংলাদেশি বাজার দখল করছে, যা ডাম্পিং নীতি হিসেবে গণ্য হয়। তিনি সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ওয়ান কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী নাসিরুদ্দিন মিয়া বলেন, “উৎপাদন খরচ ক্রমাগত বাড়ছে, অথচ পণ্যের বিক্রিমূল্য কমছে। এভাবে শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। নীতিগত সহায়তা অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।” মাসকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মাহবুব মিল্টন বিদ্যুৎ ও পরিবহন খরচ কমাতে প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। আকিজ গ্রুপের সাবেক নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী জামিল টিপু বলেন, “বিকল্প শক্তি বিশেষ করে সোলার ব্যবস্থায় যেতে না পারলে টিকে থাকা কঠিন হবে।” বেঙ্গল এনএফকে লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, “ব্যাংক সুদের হার ১৩ শতাংশের বেশি হওয়ায় বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ ব্যয় ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।” রাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসানুল রাসেল বলেন, “গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্থিতিশীলতা উৎপাদনে বড় ক্ষতির কারণ হচ্ছে। ইউটিলিটি নিশ্চয়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।” স্পিকারেরা আরও বলেন, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারতীয় সুতা অবাধে প্রবেশ রোধ না হলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী, শিক্ষাবিদ এবং প্রযুক্তিবিদরা। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী সুমায়েল মো. মল্লিক।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
