ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১০ কার্তিক ১৪৩২
‘বিয়ারিং প্যাড’ কী, মেট্রোরেল ও সেতুতে কেন বসানো হয়?
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Sunday, 26 October, 2025, 5:24 PM

‘বিয়ারিং প্যাড’ কী, মেট্রোরেল ও সেতুতে কেন বসানো হয়?

‘বিয়ারিং প্যাড’ কী, মেট্রোরেল ও সেতুতে কেন বসানো হয়?

রাজধানীর ফার্মগেট অংশে মেট্রোরেলের পিলারের একটি ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে নিচে পড়ে আবুল কালাম (৩৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে।

এ ঘটনার পর আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলে একটি ‘বিয়ারিং প্যাড’ খুলে পড়ে। এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। সেবার প্রাণহানি না ঘটলেও এবার একজন নিহত হন।

তবে পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে মেট্রো রেললাইনের বিয়ারিং প্যাড দুইবার খসে পড়ার পর এর কাঠামো ও কাজ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়।

‘বিয়ারিং প্যাড’ কী

মেট্রো রেললাইনের নিচের অংশে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের তৈরি ‘বিয়ারিং প্যাড’ থাকে। এটা সেতু বা উড়াল সেতুতে বসানো হয় কম্পন প্রতিরোধের জন্য। এগুলোর প্রতিটি আনুমানিক ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের হয়। এসব ‘বিয়ারিং প্যাড’ ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ইলাস্টোমোরিক বিয়ারিং প্যাড নিওপ্রেন বা প্রাকৃতিক রাবার দিয়ে তৈরি, যা পিয়ার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো হয়। কোনোটির ভেতরে কয়েক পরতে থাকে স্টিলের কাঠামো, আর ওপরে থাকে রাবার।

ঝাঁকুনি প্রতিরোধের পাশাপাশি সেতু বা ফ্লাইওভারকে টেকসই করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ‘বিয়ারিং প্যাড’। দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে সেতু বা ফ্লাইওভারের অবকাঠামোর যে ক্ষয় হয়, ‘বিয়ারিং প্যাড’ সেটিকেও প্রতিরোধ করে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘কোনো সেতুর পিয়ার ও গার্ডারের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টির জন্য এই ধরনের রাবার প্যাড ব্যবহার করা হয়। এগুলো বাংলাদেশেও তৈরি হয়, আবার বিদেশ থেকেও আনানো যায়। এক একটি প্যাডের ওজন হতে পারে ৫০ থেকে ২০০ কেজি পর্যন্ত। বুয়েট এসব রাবার প্যাডের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয়।’

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status