ময়মনসিংহ নগরীতে নওমহলের ভাড়াটিয়া তায়েবা আক্তারের বিয়ে প্রতারণা ও কাবিন বাণিজ্যের ছোবলে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে চরপাড়া এলাকার শান্ত হক মন্ডল।
অভিযোগ রয়েছে, দুর্গাপুরে গ্রামের বাড়ী হলেও লেখাপড়ার সুবাদে ময়মনসিংহ নগরীতে ভাড়া বাসায় থেকে ধনাট্য ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কৌশলে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে মোটা অংকের টাকার ভুয়া কাবিন নামায় বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা ঠুকে দেন মোহরের টাকা আদায়ের পায়তারা করছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, তায়েবা আক্তারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১০/১২ জন নারী পুরুষের সমম্বয়ে একটি সংবদ্ধ ভয়ংকর প্রতারক চক্র। তায়েবা প্রেমের ফাঁদে ফেলে শান্তকে বাসায় এনে নিজেরা কাজী সেজে মোটা অংকের কাবিননামা মুলে বিয়ে করে সংসারের নামে শুরু করে তালবাহানা। স্বামী শান্ত প্রতিবাদ করায় ঠুনকো অজুহাতে দেনমোহরের টাকা পরিশোধের দাবী তুলে, টাকার রফাদফা না হওয়ায় ঠুকে দিয়েছে ধর্ষণ মামলা। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা মামলা নং-৪৮ তারিখ ১২/০৯/২০২৫ইং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্রে জানা যায়, প্রথম বিয়েতে একই কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মূলত তাইয়েবা তার একটি চক্র নিয়ে কাবিন বানিজ্যে মেতে উঠেছে। দ্বিতীয় স্বামী শান্ত হক মন্ডলের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে ধর্ষণ মামলা ঠুকে দিয়েছে।
এবিষয়ে তায়েবা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে আমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল শম্ভুগঞ্জে, তখন আমার নাম ছিল মুক্তি সরকার এখন আমি তায়েবা আক্তার। শান্ত'র বউ বাচ্চা আছে এগুলো গোপন রেখে আমাকে মুসলিম বানিয়ে বিয়ে করেছে। যখন আমি মামলা করতে যাই তখন দেখি কাবিননামা ভূয়া, চার বছর সংসার করা অবস্থায় দুটি বাচ্চা ঔষধ খাইয়ে নষ্ট করছে, যেহেতু কাবিননামা ভুয়া সেক্ষেত্রে প্রতারণা ও ধর্ষণ দুইটাই করেছে, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।