ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১ কার্তিক ১৪৩২
ঘষামাজা করে কর ফাঁকির অভিযোগ, চসিকে দুদকের অভিযান
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: Thursday, 23 October, 2025, 8:10 PM

ঘষামাজা করে কর ফাঁকির অভিযোগ, চসিকে দুদকের অভিযান

ঘষামাজা করে কর ফাঁকির অভিযোগ, চসিকে দুদকের অভিযান

দুই প্রতিষ্ঠানের পৌরকরের নথিতে ২টি ‘২’ ঘষামাজা করে মুছে চসিকের ৪০ কোটি টাকা পৌরকর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তে অভিযানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের একটি দল টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায়।

এ সময় দুদক কর্মকর্তারা নথি পর্যালোচনা ও চসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।  

সূত্র জানায়, ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরের পৌরকর নির্ধারণের বার্ষিক মূল্যায়নে ইছহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থলে আপিল রিভিউ বোর্ডে উপস্থাপনের সময় ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়।

ইনকনট্রেন্ড ডিপোতে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ  টাকার পৌরকর আপিল রিভিউ বোর্ডে দেখানো হয় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২৬ ও ২৫ কোটির, এ দুইয়ের দুই মুছে দেওয়া হয়। এতে কম যায় ২০ কোটি টাকা করে ৪০ কোটি টাকা।  

দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখেছি নথিতে ঘষামাজা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। যেহেতু তারা বেনিফিশিয়ারি। সিগনেচার এক্সপার্টদের মতামত নেওয়া হবে। বিস্তারিত তদন্তে ব্যাংকিং হিসাব তদন্ত করা হবে।  

চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, ২০১৭-১৮ সালে চসিকের শেষ অ্যাসেসমেন্টকে ভিত্তি করে দুই কনটেইনার ডিপোতে অনিয়মটা হয়েছে। ২৬ কোটি এবং ২৫ কোটিকে ঘষামাজা করে ৬ কোটি ও ৫ কোটি দেখানো হয়েছে। একজন টিও এবং দুইজন ডিটিও সরাসরি দায়ী ছিলেন। হিসাব সহকারীরা বিষয়টি জানতেন। কর্মরত দুইজনকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

হিসাব সহকারীদের ওএসডি করেছি। তাদেরও ১০ দিনের মধ্যে কারণদর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থায় চলে যাব। একজন অবসর নিয়েছেন। অবসরোত্তর বেনিফিটগুলো স্থায়ীভাবে স্থগিত করেছি। ক্ষতি নির্ধারণের বিষয় ছিল।

সরকারি অন্য কোনো সংস্থা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করবো। ২০২৩ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রিপোর্ট আসার সাথে সাথে মাননীয় মেয়র ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বিভাগীয় প্রধানদের নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছেন। রিভিউ বোর্ডের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রতিষ্ঠান দুইটির ২৬ কোটি ও ২৫ কোটি ধরে পুনরায় পৌরকর আদায় করার উদ্যোগ নেওয়া।


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status