|
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরোক্ষ সহযোগীতা ও রাজনৈতিক নেতাদের মদদ
পল্লবীতে ১ হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ী, ৭০০ সদস্য নিয়ে শাহজাদীর রাজত্ব
# মাদক ব্যবসায় ১৫/২০ জনের অস্ত্রধারী দল
বিপ্লব বিশ্বাস
|
![]() পল্লবীতে ১ হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ী, ৭০০ সদস্য নিয়ে শাহজাদীর রাজত্ব রাজধানীর মিরপুর জুড়ে সক্রিয় মাদক কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে থাকলেও বেশির ভাগই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এই মাদকের বাণিজ্য একক নিয়ন্ত্রণ করতে গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং। আর তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে দেশি বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। চলতি বছর পল্লাবীর বাউনিয়াবাধসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি ও হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা থেকে শুরু করে বাংলা মদসহ সব ধরনের মাদকই চলছে হাতবদল হয়ে। তবে প্রশাসনের অভিযানেও ধরা পড়ছে না মূল কারবারিরা। সূত্র জানায়, পল্লবীতে মাত্র ৩০ জন পাইকারী পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৩০ জন। ব্যবসা ভালো হবার সুবাধে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা এখন স্বপরিবারে নেমেছে মাদক ব্যবসায়। র্সোসদের অভয়বানী, পুলিশের পরোক্ষ সহযোগীতা আর রাজনৈতিক নেতাদের পরোক্ষ মদদে পল্লাবীতে উঠতি কিশোর মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও প্রায় হাজার খানেকের উপরে। ১৫/২০ জন সংঘ বদ্ধভাবে চলাফেরা করা এসব উঠতি কিশোরদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দেশীয় অস্ত্র থেকে বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। মাদক ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য এসব কিশোরদের পক্ষ থেকে বাছাই করে বানানো হয় থানা পুলিশের সোর্স। একবেলা র্সোস অন্যবেলা খুচরা মাদক ব্যবসা করছেন নিশ্চিন্তে। এর আগে পল্লাবীতে র্সোস অমিত, র্সোস ডিপজল সুমন, র্সোস বাবলাসহ অনেকেই খোদ পল্লাবী থানার সামনে পুলিশের টহল গাড়িতেই বসে মাদক বিক্রি করার নজির রয়েছে তবে এখন সোর্সদের মধ্যে পল্লাবীর সিরামিকর্স রোডের সেলিম ব্যাপারী ওরফে পিচ্চি বাবু বেশ নামডাক হাকিয়েছেন। সামান্য পরিমাণের খুচরা মাদক ব্যবসায়ী থেকে এখন তিনি রীতিমতো পাইকারী ব্যবসায়ী বনে গেছেন। তার নিয়ন্ত্রণেই এখন ২৫ সদস্যর একটি মাদক ব্যবসায়ী নেটওর্য়াক গড়ে উঠেছে। পিচ্চি বাবুর ভাগিনা বাপ্পি, ভাতিজা রনি, জনি,রবিন সব দেখভাল করেন। পল্লাবীর সকল খুচরা ও পাইকারী মাদক স্পটের সামনে প্রায় সারাদিনই পাহারায় থাকে সোর্সদের র্সোসরা। দিন শেষে এই র্সোসরাই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চক্র আকারে ঘোরাতে থাকে আবার অনেক সোর্সরা কিছু পুলিশ সদস্যদের হতে মাসোহারা তুলে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোদ থানার ২০০ গজের মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে বেশ সুনামের সাথে পাইকারী মাদক ব্যবসা করে আসছেন কুর্মিটোলা পূর্ব ক্যাম্পের বস্তির শাহজাদী, শাহজাদীর জামাই রনি, শাহজাদীর ছেলে সিজান, শাহজাদীর ভাই মনু, সুনু, গরু আমজাদ, মাছ ফয়সাল। তুতা মিয়া বস্তির আছিয়া, আছিয়ার ছেলে আরিফ, আরিফের বউ, রুবেল। শাহপরান বস্তির সুন্দরী ও শিউলী, কালশী বালুর মাঠ বস্তির শাহানাজ, আলমগীর, আলমগীর এর মেয়ে হালিমা, আঁখি, রুবেল ও রনি। বেগুনটিলা সরকারি আবাসন এলাকার শাহজাদীর ভাই বট আসলাম, রাজন ও রাজ, ফর্মা রহমান, সুজন। মিল্লাত ক্যাম্পের সিরাজ, ইউসুফ এর ছেলে ইউনুস, শাহিদ এর ছেলে আলী, কাল্লু এর ছেলে আরজু, সামিধ এর ছেলে নাদিম, মসজিদের পিছনে রাজ্জাকের বউ গুড়িয়া, দুলারা এর স্ত্রী সাম্মি, বি বল্কের সাত নং রোডের মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে আবিদ, একই রোডের আরজু ও অকিল, বি বল্ক চার নং লাইনের মৃত খলিল সরদারের ছেলে পাইকারী হিরোইন ও ইয়াবা বিক্রেতা রুস্তুম, ফয়সালের স্ত্রী সায়মা, হাবিব ও হাফিজ দুই ভাই, বি বল্কের সাত নং লাইনের মোস্তফার ছেলে জামাল, জামালের স্ত্রী মনি, আট নং লাইনের মৃত ইসমাইল এ ছেলে রহমত, বাইশ নং লাইনের কালাম, কালামের মোয়ের জামাই জুম্মন,কালামের আপন দুই শ্যালক কলিম ও সেলিম, পাপ্পু ওরফে ন্যাটা পাপ্পু, বিহারী নেতা জাহাঙ্গীর এর বউ লাক্ষী ও তার মেয়ে সনি, এবং লাক্কীর বোন নাসাবা, কাল্লু ওরফে পিচ্চি কাল্লু ও তার বউ বিজলী,কালি ও তার বড় মেয়ে নাহিদ এবং দুলারী, দুলারীর বোন জামাই মিন্টু ও বেচু, এভিনিউ ৫, পাঁচ নং লাইনের মৃত মহরম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সাকলাইন, সি বল্কের চার নং লাইনের আবুল এর ছেলে কামরান,কাউছার এর ছেলে চুম্বনু, মোস্তাকের ছেলে মিস্টার, ১৫/১ নিমতলী বাজার রহমানের বস্তির আরমান ও তার স্ত্রী ফতে, আক্কু সোহেল, খোরশেদ ওরফে ঘাড় কাটা খোরশেদ, তেইশ নং লাইনের সানা ও তার কাছেরর বন্ধু বাদল, লালমতি, রতন, বাবু, প্যারিস রোডের রফিকুল, সুরুজ, শফিকুল, শাকিবুল, মাকসুদ ফুটবল ক্যাম্পের জাহিদ, আবিদ, ইমু, শাসশের, সানি, কানা রানা, মনা ও তার বউ, মনার শালা রানা, দশ নম্বর ওয়াপদা ক্যাম্পের দুই নং ল্ইান বি ভল্কের মৃত শফি মেম্বার এর ছেলে শাহনেওয়াজ, রামুদা ক্যাম্পের সাতাইশ নং লাইনের মোবারকের ছেলে নাদিম,একই লাইনের মৃত আকরামুল হক এর ছেলে মোঃ এসামুল সেদি, বি বল্কের মিলন ওরফে মুখ পোড়া মিলন, র্সোস রানা, পিতা জলিল, র্সোস রাজীব, এমসিসি ক্যাম্পের আফসার, সানি, গাজী ও তার দুলাভাই র্সোস জাহাঙ্গীর, র্সোস জাকির, র্সোস ইসরাফিল, র্সোস কোরবান, ঝুট পট্টির ন্যাটা জুম্মন, বান্টি, বারো নং ধ ব্লকের শামসুলের ছেলে ফরহাদ, র্সোস জুলফিকার, মিয়াজীর ছেলে মুন্না, তছুর ছেলে আতিক, রফিকুল এক নং ওয়াপদা বিল্ডিং ফয়সাল,মেম্বার শাহনেওয়াজ, পলু, দানু, দুই নং ওয়াপদা বিল্ডিং নিজামুদ্দিন এর চার ছেলে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন ও তার ছেলে রাসেল, তারেক, সোহেল, শানু, চার নং ওয়াপদা বিল্ডিং লিটন ও তার ভাই কাল্লু,আসলাম ও জাবেদ, দশ নম্বর মুসলিম ক্যাম্পের বাস্তুহারা মুন্না, এমডিসি ক্যাম্পের ন্যাংড়া রুবেল, মোটা শহিদ, পিঠাগুড্ডু এর ভাগিনা আরমান, দশ নম্বর ওয়াপদা বিল্ডিং এর মফিজ,হাসান, র্সোস রাজীব, এডিসি ক্যাম্পের নাসির, হিজরা বাবর, রুবেল ওরফে ন্যাংড়া রুবেল, শহিদের ছেলে আজহার,মজিদের ছেলে নান্নু, তালাব ক্যাম্প আরজু ও তার বোন এবং বোন জামাই সোলেমান, বিহারী মোস্তাকের শ্যালক ফিরোজ, শহিদের ছেলে আবিদ, এগারো নং ব্লক এ এর বাবু ও তার শাশুড়ী এবং তার শ্যালক ইব্রাহিম ও তার বউ প্রিয়া, এগারো নং সি ব্লক আট নং লাইনের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সেকশন এগারো ডুইপ প্লট মোস্তাকের মেয়ে জামাই হাফিজ, যুবদল নেতা ফুজলু, মালার ছেলে মারুফ, রহমত ক্যাম্প ডিবজল সুমন, সালাম, সান্জু, চুল্লুর ছেলে কামরান, কনসাল ক্যাম্প কালেখানের ছেলে পারভেজ, ক্যাপ্টেন ও তার ভাই জুম্মন,পদ্দ ও তার স্বামী অমিত, এগারোর ডি ব্লক সাতাইশ নং লাইনের এনামলি হক ছেদি,কোরবান, বারো নং ই ব্লক আওয়ামীলীগ নেতা মনির এর ছেলে টিটু, মোরাপাড়া ক্যাম্প শেখ আহম্মদ, বারো ডি ব্লক স্কুল ক্যাম্প আজগরের ছেলে বুলু, করিম, পেপার সানি, র্সোস মালেকের ছেলে মানিক, সেকশন সাতের বাবুলের ছেলে সালাউদ্দিন, আসাদ,রুবেল ওরফে সুন্দরী রুবেল, কামরুল, শফিক, বারানটেকের ইমরান ও বাপ্পি। বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় মাদক ব্যবসায় রয়েছেন এমপি ফয়সাল, এ বল্ক পোড়া বস্তির মোঃ আবু কালাম, জনি, রাশেদ, আলদী, মুন্না, আরমান, সোহাগ, রফিক, বাবু, জসিম, বি বল্কে মৃত বাবুলের এর ছেলে মামুন, দেলোয়ার এর ছেলে মামুন, লম্বা ফারুক, সুলাইমানের ছেলে ডাকু রমজান, বাউনিয়াবাঁধ কলা পট্টি এলাকার সুলাইমান এর স্ত্রী টুম্পা, কাশেম, ইসমাইল, মৃত বাবুল এর স্ত্রী পাখি, চব্বিশ নং লাইনের চোরা আমির, বাউনিয়াবাদ পিকআপ স্ট্যান্ডে ইদ্রিসের ছেলে সোহেল ওরফে কিলার পাতা সোহেল, সোহেলের বউ, মোঃ সেলিম, রাজিব ওরফে র্ফমা রাজিব, ডি বল্ক এর স্বপন, পনের নম্বর লাইনের মজনু, স্বপন ওরফে চোরা স্বপন নিজে ও তার দুই ছেলে হারুন ও মুসা, এক নং রোডের সিরাজ এর ছেলে রুবেল, বাবু, রহমান সাদেক এর ছেলে পুলিশের র্সোস সুলাইমান, একই লাইনের গিয়াসউদ্দিন এর ছেলে লিটন, একই লাইনের জনি, ডি বল্কের তিন নং রোডের হাফিজের ছেলে শামিম, কারেন্ট করিমের ছেলে মিজান, চৌদ্দ নং লাইনের বোরহানউদ্দিন এরেে ছলে মান্নান, মানিকের ছেলে সোহেল, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী, তের নং লাইনের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুরগী রনি, ষোল নং লাইনের সাদেকের ছেলে সাইফুল, দশ নং লাইনের নুর ইসলাম এর ছেলে পিন্টু, ই বল্কের হানিফের ছেলে শাওন, ক্যাইল্লা আলতাবের ভাগিনা রব ও তার ভাই মলফু, দুই নং লাইনের জালাল মিস্ত্রির ছেলে কানু, তিন নং লাইনের আব্দুর রবের ছেলে সালাম, দুই নং রোডের স্বপনের ছেলে জান্নাত, চুন্নু মিয়ার ছেলে জনসু, এক নং রোডের মৃত দাদন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা, এগারো নং রোডের সালামের ছেলে সেলিম, দুই নং রোডের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক মাহাজনের ছেলে রাজু ও রাব্বি, তের নং রোডের পইক্ষা মিয়ার ছেলে বিজয়, চৌদ্দ নং রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শামিম, বারো নং লাইনের শিবু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম, চার নং রোডের ইয়াসিন বয়াতির ছেলে নুর হোসেন একই রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শাহিন, ষোল রোডের ইউনুস আলীর ছেলে শামিম, সাংবাদিক আবাসিক এলাকার পেছনের স্পট চালায় জাহিদ। আদর্শ নগর এলাকার ডুইপের লাইন নং এগারোর লাভলী, লাভলীর বোন ময়না, টুন্ডা মজিবরে ছেলে রবিউল, লাভলীর ছেলে আকাশ, এরশাদ, এরশাদের ভাই সুমন, শুভ, পিচ্চি শাহিন, কালশী কবরস্থানের পিছনে ১ নং রোডের শাহিনুর, শাহিনুরের ভাই জসিম, শাহিনুরের বোন চম্পাসহ আরো হাজার খানেক মাদক ব্যবসায়ী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোট পল্লবী এলাকা। রাজধানী মিরপুর পল্লবী থানার ঠিক ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে মিরপুরের সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী শাহজাদীর মাদক স্পর্ট। যে স্পর্ট থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে গাজা, ইয়াবা হিরোইন ও কোকেন সাপ্লাই করা হয়। শুরুতে শাহজাদী ও তার স্বামী রনি মাদক ব্যবসা শুরু করলেও পল্লবীতে মাদকের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীতে মাদকের অধিপত্য ছড়িয়ে দিতে শাহজাদীর সব ভাই ছেলেসহ পরিবার ও আত্নীয় স্বজনের প্রায় সকলেই এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শাহজাদীর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ক্যম্পের প্রায় ৪০০ ঘরের ৭০০ সদস্য নিয়ে একটি বিশাল বাহিনী গড়ে উঠেছে শাহজাদীর মাদক সাম্রাজ্য। নিরাপদে মাদক ব্যবসা পরিচালণার জন্য কালশী মোড় থেকে পল্লবী থানার সামনে পর্যন্ত রাখা হয়েছে ১১ জন দক্ষ সোর্স। মাদক ব্যবসা বেশ বড় হবার জন্য শাহজাদী পরিচালনা করেন গাজার বিষয়টি যা তিনি প্রকাশ্যে অবলীলায় স্বীকার করেন। হিরোইন ও কোকেন এর ব্যবসা পরিচালনা করেন শাহজাদীর ভাই মনু, সনু, মাছ ফয়সাল, বট আসলাম ও গরু আমজাদ। ইয়াবা ব্যবসা দেখাশোনা করেন শাহজাদীর জামাই রনি ও ছেলে সিজান। আগে বিভিন্ন সময়ে শাহজাদী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও ইদানীং সোর্স এর সংখ্যা বাড়িয়ে ও ব্যবসার ধরন পাল্টে দেবার কারণে শাহজাদীকে বাগে পাচ্ছেন না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কুর্মিটোলা পূর্ব ক্যাম্পের প্রায় ৪০০ ঘর জুড়ে তার মাদক ব্যবসার সদস্য থাকায় প্রশাসন চাইলেও অভিযান চালিয়ে কিছু হাতে আনতে পারছেন না। সরজমিনে শাহজাদীর স্পর্ট ঘুরে দেখা যায় শাহজাদীর স্পটে উঠলেই তার ভাই সহ ২১ জন সদস্য বিক্ষিপ্তভাবে চলাফেরা করছে এবং রাস্তায় আসা যাওয়া করা প্রতিটি লোকের উপর নজর রাখছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাদীর সাথে দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং তার নিজেস্ব প্রায় দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী বাহিনী রয়েছে যার মধ্যে কিশোর গ্যাং গ্রুপটি অনেক ভয়ংকর। গেলো বছর শাহজাদী অনেক গুলো গরু কিনে মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে বিতরণ করে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন। শাহজাদী শুধু নিজেই মাদক ব্যবসা করেন এমন নয় আশে পাশের একাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের নামে মাসহারা নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার পুলিশে জালে ধরা পড়লেও বাংলাদেশের কোন জেলখানায় তাকে বেশিদিন আটকে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মাদক কারবারিদের তালিকার বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই। আমাদের প্রতিনিয়ত মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
