মঠবাড়িয়ায় বাবার সামনে ছেলেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা, এলাকাবাসীর মানববন্ধন
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
পূর্ব শত্রুতার জেরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাবার চোখের সামনে ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের উপজেলার বাবুরহাট বাজারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য- গত ৫ অক্টোবর মাছধরতে অবস্থান করা সুন্দরবনের শরণখোলা থানাধীন কস্তুরা খালে সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিপক্ষ সোহরাব মাতুব্বরের ছেলে আল আমীন ও জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল ৪ টি ট্রলার যোগে এসে তাদের ট্রলার ঘেরাও করে হামলা চালায়। এসময় জয়নালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়।সাথে-সাথে সোহরাব মৃধা ছেলে জয়নালকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও ছেলেকে খুজে পায়নি। ৬ অক্টোবর রোববার সন্ধার দিকে ওই নদী থেকে নিহত জয়নালের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহত জয়নালের বাবা সোহরাফ মৃধা ৯ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানায় মামলা করেছেন। সোহরাব মৃধা মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তাফাল বাড়িয়া গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী মৃধার ছেলে। মামলার আসামীরা হলো- ওই তাফাল বাড়িয়া গ্রামের ছোহরাব মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন (২৫), জাহাঙ্গীর (৪৫), আলম (৩৫), সোবাহান (৪৮), মৃত. সাদিমান হাওলাদারের ছেলে শাহজাহান (৫১), ইন্দুরকানী সদর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের ছেলে রাসেল (২১), রুবেল (২১), ছোবাহন মাতুব্বরের ছেলে মনির (২৩), পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ কাঠালতলী গ্রামের মৃত. মজিদ মিয়ার ছেলে মঞ্জু (৩০), মৃত নূর মোহাম্মদ জমাদ্দারের ছেলে খলিল (৪৫), চরদুয়ানী গ্রামের মৃত, আসমত আলী খানের ছেলে কাশেম খা (৪৫) এবং অজ্ঞাত ৯ জন। শরণখোলা থানার ওসি এএইচ এম কামরুজ্জামান খান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি যেহেতু নদীর মধ্যে, তাই নৌ-পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. আব্দুল আলম বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামী গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |