বিজিবির টাক্সফোর্স অভিযানে অপদ্রব্য মিশ্রিত চিংড়ি আটকের পর ধ্বংস, এক জনকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান
ইয়ারব হোসেন, সাতক্ষীরা
|
![]() বিজিবির টাক্সফোর্স অভিযানে অপদ্রব্য মিশ্রিত চিংড়ি আটকের পর ধ্বংস, এক জনকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান বৃহস্পতিবার রাতে সদরের ঝাউডাঙ্গা চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে করে ৩ ট্রাক গলদা, বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করে। বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা জানান,গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে খুলনা হয়ে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট গমন করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে ব্যাটালিয়নের নাঃ সুবেঃ মোঃ শামীম আলমসহ একটি চৌকষ আভিযানিক দল নিয়ে সদরের ঝাউডাঙ্গা চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ ট্রাক গলদা বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করি। অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস এবং সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আটকে পর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ কর্তৃক সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১১শ ২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ সনাক্ত করে। যার মূল্য ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৮শ টাকা। অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি গুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সেগুলো পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ির সাথে অপদ্রব্য পুশ ব্যতিত ২শ ৫০ কেজি বাদগা গলদা চিংড়ি ও ৩ হাজার ৭শ ৬০ কেজি দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ পাওয়া যায় যা; টাস্কফোর্স পর্ষদ কর্তৃক সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। যার মূল্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এসময়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ বাজারজাত করনের দায়ে সদরের লাবসা থানাঘাটা এলাকার জহুরুল মোড়ল এর ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (২২) কে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |