চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা, ৩১ জনের নামে মামলা
নতুন সময় ডেস্ক
|
চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। এ ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরের কোতোয়ালী থানায় নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪শ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ মামলা দুটির বিষয় নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |