স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর আয় বেশি, সংসারে অশান্তি থেকে মুক্তির উপায়
নতুন সময় ডেস্ক
|
শহুরে জীবনে ব্যয় নির্বাহ করতে আজকাল স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করে থাকেন। এতে সংসারে অর্থের অভাব ঘুচলেও অশান্তি এসে দরজায় কড়া নাড়ে যখন স্ত্রীর উপার্জন বেশি হয়ে যায় স্বামী থেকে। স্বামী তখন হীনম্মন্যতা ও অনিরাপত্তায় ভুগতে শুরু করেন। এর থেকে ধীরে ধীরে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, কী করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক। যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, বাস্তবে এটাই সত্য যে সমাজটা এখনো পুরুষতান্ত্রিক। দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রথা ভেঙে নারীর আয় বেড়ে গেলে তা পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মানে পুরুষরা এটা কোনো ভাবেই মানতে চান না যে, স্ত্রী তার থেকে বেশি রোজগার করছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবী দম্পতির মধ্যে স্ত্রীর তুলনামূলক বেশি আয়ের সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক বিষয়ের পাশাপাশি জীবন সন্তুষ্টি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সম্পর্কচ্ছেদের মতো ঘটনাগুলোও যুক্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে, যে স্বামী তার স্ত্রীর আয়ে পুরোপুরি নির্ভরশীল, তার মানসিক অবস্থা সবচেয়ে করুণ থাকে। তিনি অধিকাংশ সময়ে অবসাদগ্রস্ত থাকেন। এই সমস্যার সমাধানে দরকার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন। ১. দুজন সংসার শুরু করেছেন। শহুরে জীবনে ব্যয় এত বেশি যে একা সংসার চালানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে দুজনকেই চাকরি করতে হবে। এবার চাকরি করতে গিয়ে কারো বেতন বেশি হলে সমস্যার কিছু নেই। মেনে নিন, সহজ থাকুন। অযথা জটিলতায় যাবেন না। ২. সংসারে একজনের আয় বাড়লে সবমিলিয়ে পুরো সংসারেরই আয় বাড়ে। এর মাধ্যমে সবাই ভালো থাকতে পারবেন। এই সত্যটা সবার আগে বুঝতে হবে। ৩. ধৈর্যের থেকে ভালো বন্ধু আর কেউ নেই। আজ স্ত্রীর বেতন বেশি তো কি হয়েছে, কাল আপনার বেড়ে যাবে। এত এত ভেবে কপালে ভাঁজ ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই। ৪. সংসারে স্ত্রীকেও এই সময়ে স্বামীর পাশে থাকতে হবে। তাঁকে কোনোভাবেই ছোট করা যাবে না। এমন কিছু বলা যাবে না কিংবা এমন কোনো আচরণ করা যাবে না যাতে তার মনোবল ভেঙে যায়। মনে রাখতে হবে সংসারটা স্ত্রীরও। তাকেও হাল ধরতে হবে। ৫. একজন মানুষের উপার্জন ক্ষমতাই শেষ কথা নয়। দুজনকেই এটা বুঝতে হবে। কোনো সমস্যা হলে কথা বলে মিটিয়ে ফেলুন। অহেতুক ঝামেলা বাড়াবেন না। ৬. স্ত্রীর আয় বেশির কারণে স্বামী অবসাদের শিকার হলে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সমস্যাটি ফেলে রাখবেন না। দ্রুত কথা বলে সমাধান করুন। ইগোকে বাড়তে দেবেন না। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |