যে দেশে বাঙ্গির জন্য দিবস, সেখানে চলে না ময়লা গাড়ি
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 19 August, 2024, 1:16 PM
মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান। ভিসা জটিলতায় দেশটিতে পর্যটক সমাগম একেবারেই কম থাকে। তবে উদ্ভট আর বিচিত্র কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য তুর্কমেনিস্তান নিয়ে মানুষের রয়েছে আলাদা আগ্রহ।
বাঙ্গির জন্য সরকারি ছুটি
ইফতারের সময় বা গরমে অনেকেই বাঙ্গির (মেলন) শরবত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু, জানেন কি, তুর্কমেনিস্তানে এই বাঙ্গির জন্য গোটা একটি দিন রয়েছে! প্রতি বছর আগস্ট মাসের দ্বিতীয় রোববার দেশটিতে জাতীয় বাঙ্গি দিবস পালন করা হয় এবং সেদিন তাদের সরকারিভাবে ছুটি থাকে! সুস্বাদু আর রসালো হিসেবে তুর্কমেনিস্তানের বাঙ্গির কদর রয়েছে।
কালো আর ময়লা গাড়ি চলবে না
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলী বার্দিমুহামেদোর জারিকৃত অদ্ভুত নিয়মগুলোর একটি ছিল, রাজধানী আশগাবাতে কালো রঙের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। ময়লা গাড়িও রাস্তায় চলতে পারবে না। নিয়মটি এখনও বহাল। তাই তো শহরের উপকণ্ঠে প্রচুরসংখ্যক কার ওয়াশিং স্টেশন গড়ে উঠেছে, যেন রাজধানীতে প্রবেশের আগে সবাই যার যার গাড়ি ধুয়ে নিতে পারে।
সত্তরের আগে দাঁড়ি ‘না’
গত কয়েক বছরে দাঁড়ি রাখার ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন সব বয়সী তরুণেরা। কিন্তু তুর্কমেনিস্তানে বয়স ৭০ হওয়ার আগ পর্যন্ত দাঁড়ি রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে! শুধু দাঁড়িই নয়, এ বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত ছেলেরা চুলও লম্বা করতে পারবে না!
কার্পেট মন্ত্রণালয়
তুর্কমেনিস্তানে কার্পেটের এতো বেশি কদর যে সেখানে শুধু কার্পেটের জন্য একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী আশগাবাতে একটি জাদুঘর রয়েছে, যেখানে এক হাজারেরও বেশি কার্পেটের প্রদর্শন হয়ে থাকে। দেশটির জাতীয় পতাকাতেও কার্পেটের কারুকাজ আঁকা রয়েছে।
শুধুই সাদা
২০১৩ সালে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পায়। কারণ এর ৪.৫ মিলিয়ন বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে ৫৪৩টি শ্বেত পাথরের ভবন রয়েছে। যদিও এসব ভবনের অধিকাংশেই মানুষের বসতি নেই।
নরকের দুয়ার
এসবের বাইরেও তুর্কমেনিস্তান বিখ্যাত ‘গেটওয়ে টু হেল’ বা নরকের দুয়ারের জন্য! কারাকুম মরুভূমিতে অবস্থান বিশাল এই অগ্নিকুণ্ডের। এক সময় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল এটি।
এক সময় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল নরকের দরজা নামে পরিচিত এই অগ্নিকুণ্ড এক সময় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল নরকের দরজা নামে পরিচিত এই অগ্নিকুণ্ড। ছবি: সংগৃহীত
অগ্নিকুণ্ডটি মূলত জমে থাকা গ্যাসের গর্ত। অনেকের বিশ্বাস, ১৯৭১ সালে সোভিয়েত সামরিক মহড়ার সময়ে কোনো ভুলের কারণে এর সৃষ্টি। ২০২২ সালে এই ‘দারওয়াজা’ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, আশপাশের গ্রাম এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব পড়ছিল। তা ছাড়া তুর্কমেনিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে পারছিল না বলেও সেসময় মত দেন তিনি।