ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কলার সুতার মতো অংশটি খেলে যা ঘটবে
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Wednesday, 4 October, 2023, 12:16 PM

কলার সুতার মতো অংশটি খেলে যা ঘটবে

কলার সুতার মতো অংশটি খেলে যা ঘটবে

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের একটি চমৎকার উৎস কলা। তাছাড়া নাস্তার জন্য খুবই ভালো একটি খাবার কলা। তবে এই কলা খাওয়ার সময় একমাত্র বিরক্তির জিনিসটি হচ্ছে, কলায় লেগে থাকা সুতাকৃতির চামড়া। যেটিকে ‘ফ্লোয়েম বান্ডেল’ নামে অভিহত করা হয়ে থাকে। খোসা ছাড়ানোর পর কলায় ফ্লোয়েম বান্ডেল লেগে থাকতে দেখা যায়। যথেষ্ট বিরক্তি সহকারে কলা থেকে এই ফ্লোয়েম বান্ডেল ফেলে দিয়ে তারপর আমরা কলা খেয়ে থাকি।

এই ফ্লোম বান্ডেলগুলো খেতে সুস্বাদু না হলেও, খাওয়াটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ফেলে দিয়ে কলা খাওয়াটা আপনার উচিত হবে না, এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউট্রিশন রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডোল নিউট্রিশন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নিকোলাস ডি গিলিট। হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যদিও আমরা নির্দিষ্টভাবে ফ্লোয়েম বান্ডেল নিয়ে গবেষণা করিনি, তবে সম্ভবত এর পুষ্টিগুণের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। যেহেতু এগুলো একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি। কলার তুলনায় ভিন্ন পুষ্টিগুণ এতে রয়েছে বলে আশা করা যায়।

ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজের দিকে তাকিয়েই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ফ্লোয়েম টিস্যু উদ্ভিদের দুই ধরনের পরিবহন টিস্যুর একটি, যা সব উদ্ভিদের মধ্যেই রয়েছে। পুষ্টি এবং অন্যান্য উপাদান পুরো উদ্ভিদে পরিবহন করে এই টিস্যু। কলার মধ্যে ফ্লোয়েম থাকার কারণ হচ্ছে, এটি পুষ্টিগুলো পুরো কলায় ছড়িয়ে দেয়, যা কলার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পুষ্টির পর্যাপ্ত স্বভাবের জন্য ফ্লোয়েম বান্ডেলগুলো প্রয়োজন।

ড. গিলিটের মতামত, কলার ফ্লোয়েম বান্ডেলগুলো সম্পূর্ণরূপে খাওয়া যেতে পারে এবং ফলের মূল অংশ হিসেবে তা পুষ্টিকরভাবে সমৃদ্ধ। এমনকি, সম্ভবত পুরো কলার তুলনায় এর ফ্লোয়েম বান্ডেলে অনেক বেশি ও বিভিন্ন ধরনের ফাইবার রয়েছে। আর যে কোনো ফাইবার মানেই স্বাস্থ্যকর। মানুষের শরীরের জন্য এটি ভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাবে।

এই ফল বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘সাধারণত ফলের সব অংশই পুষ্টিকর। আপেল, নাশপাতি অন্যান্য ফলগুলো খোসা সহ খাওয়া হয়ে থাকে এবং ফ্লোয়েম বান্ডেল তো অবশ্যই চাইলে খোসা সহও কলা খাওয়া যেতে পারে। বেস্বাদ হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো এদের ক্ষতিকারক বলে প্রমাণ করা যায়নি।’ সূত্র : ডেইলি মেইল
হাত-পায়ে ‘ঝি ঝি ধরে’ যাওয়ার মতো সমস্যার সঙ্গে আমরা মোটের উপরে সবাই পরিচিত৷ ডাক্তারি পরিভাষায় বিষয়টিকে বলে 'Temporary Paresthesia'৷ সহজ ইংরেজিতে বলতে গেলে 'পিনস অ্যান্ড নিডলস' সিনড্রোম। আমাদের শরীরের সমস্ত প্রান্তেই স্নায়ু ছড়িয়ে থাকে৷ সাধারণত, হাত বা পা বা শরীরের অন্য কোনও অংশ দীর্ঘক্ষণ মেকানিক্যাল স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, তাতে ঝিন ধরে যায়৷
কিন্তু, যাঁদের মধ্যে ঘন ঘন হাত-পায়ে ঝিন ধরে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁরা বিষয়টিকে একেবারেই অবহেলা করবেন না৷ কারণ, এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনও কারণ৷ এই প্রতিবেদনে আমরা হাত-পায়ে ঝিন ধরে যাওয়ার সেই সমস্ত কারণ বিশদে ব্যাখ্যা করব৷ পাশাপাশি, জানাব কী কী করলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে৷

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে, বা দাঁড়িয়ে থাকলে এমনকি, অনেক সময় ঘুমের মধ্যেও হাত-পায়ে এই ঝিন ধরে যায়৷ আসলে কিন্তু, এর পিছনে বেশ কয়েকটি ভিটামিনের ঘাটতি কারণ হতে পারে৷ আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন ভিটামিনের অভাবে হাত-পায়ে ঝিন ধরার ঘটনা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয়৷

ভিটামিন বি ১২:

হেলথলাইন-এর তথ্য অনুসারে, কোষে শক্তি উৎপাদন করার জন্য ভিটামিন বি ১২ একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি মাংস, দুগ্ধ এবং ডিমের মতো প্রাণীজ খাদ্যে বিপুল পরিমাণে থাকে। সেই কারণে, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, তাঁদের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হতে পারে৷ তাই অনেক সময় নিরামিষাশীদের ক্ষেত্রে এই ঝিন ধরার সমস্যা বেশি হয়৷

ভিটামিন বি ৬:

 ভিটামিন বি-৬ এর অভাবে যে কেউ এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি৬ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। নিয়মিত মাছ, মাংস, বাদাম, লেবু, সাইট্রাস জাতীয় ফল ইত্যাদি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন

ভিটামিন বি ১:

ভিটামিন বি ১-এর অপর নাম থায়ামিন৷ ভিটামিন বি১ স্নায়ুর ক্ষতিপূরণে (নিউরোন রিপেয়ার) সাহায্য করে৷ এই ভিটামিনে ঘাটতি থাকলে স্নায়ুর অসাড়তার মতো সমস্যা মাথাচাড়া দিতে পারে৷ মাছ, মাংস, মটর, ডাল ইত্যাদি লেগুম জাতীয় শস্যে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন বি১ থাকে৷ যাঁরা বেশি রিফাইনড খাবার খান, তাঁদের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকতে পারে। এতে হাত-পায়ে ব্যথা বা ঝিনঝিন ধরার মতো সমস্যা তাঁদের বেশি হয়।

ভিটামিন ই:

যদি আপনার প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন ই কম থাকে, তাহলে অন্ত্রে ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ সম্পন্ন খাবারের শোষণ কমে যায়৷ যার ফলে হাত বা পায়ে খিঁচুনি এবং সমন্বয়ের অভাবের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই, খাদ্যতালিকায় বাদাম, উদ্ভিজ্জ তেল এবং শাক ইত্যাদি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

ফোলেট:

শরীরে ফোলেটের ঘাটতির কারণেও হাত-পায়ে ব্যথা বা ঝিন ধরার মতো সমস্যা হতে পারে। ২০১৯-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এটি ৪০ বছরের কম বয়সি ব্যক্তিদের উপরে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। ফোলেট অর্থাৎ ভিটামিন B9-এর মাত্রা শরীরে ঠিক রাখতে শাক-সবজি, শস্য, মটরশুটি, চিনেবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, সামুদ্রিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্য ইন্টারনেট থেকে পাওয়া৷ নিউজ১৮ এর সত্যতা নিশ্চিত করে না৷)

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status