| 
			
							
			
			 ১১২ টাকায় ১৪ জনকে চাকরি দিলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি  
			
			নতুন সময় প্রতিবেদক 
			
			
			 | 
		
			
			![]() ১১২ টাকায় ১৪ জনকে চাকরি দিলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন— হাবিব উল্লাহ, মো. জাকারিয়া, জান্নাতুল বুশরা মালেক, ইয়াছিন আরাফাত, মাহবুব হাসান, হাবিবুর রহমান সরকার, তাইজুল ইসলাম, শিপলু, জামাল হোসেন, জুবায়দা মারুফা সোহা, আজিজুল হক বাপ্পী, আতিকুর রহমান, আব্দুল বাছেদ ও মো. শাহ পরান। নিয়োগপ্রাপ্তরা জানান, বিজ্ঞপ্তি দেখে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরির আবেদন করেন। মাত্র ১১২ টাকায় সরকারি চাকরি পাওয়া তাদের কাছে ছিল কল্পনাতীত। জেলা প্রশাসক নিজ হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ায় তারা আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,“গত ২৪ অক্টোবর ৭টি ক্যাটাগরিতে লিখিত পরীক্ষায় ১ হাজার ২৩৩ জন অংশ নেন। ওই দিনই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর মৌখিক পরীক্ষা শেষে রবিবার (২ নভেম্বর) গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ সোমবার নিয়োগপ্রাপ্তদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।” সার্টিফিকেট পেশকার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত তাইজুল ইসলাম বলেন,“বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাত্র ১১২ টাকায় আবেদন করে স্বচ্ছভাবে চাকরি পাওয়া সত্যিই অবিশ্বাস্য। জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। উনার উদ্যোগ না থাকলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সরকারি চাকরির সুযোগ পেত না। আমাদের মধ্যে কেউই এক টাকাও ঘুষ দেইনি। নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত আড়াইহাজারের দয়াকান্দা এলাকার হাবিব উল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম অনেক ভালো মানুষ। এতটা ফেয়ার ও স্বচ্ছ নিয়োগ আগে দেখিনি। প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সুন্দরভাবে শেষ করা হয়েছে। কোনো জটিলতা বা অনিয়মের মুখোমুখি হতে হয়নি। যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে জনগণের মধ্যে সরকারি চাকরির প্রতি নতুন আস্থা জন্মাবে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. জাকারিয়া বলেন, আমি জেলা প্রশাসক স্যারের অনেক কার্যক্রম আগেই দেখেছি। তাই আমি আশাবাদী ছিলাম যে, ঘুষ ছাড়াই চাকরি হবে। সেটিই হয়েছে। সার্টিফিকেট সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. শিপলু বলেন,“ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়ে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। এটা কল্পনার বাইরে ছিল। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরই বিশ্বাস হয়েছে এটা সত্যি। জেলা প্রশাসক স্যার এখন আমাদের কাছে একটি আইডল। উনার অধীনে নিয়োগটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে হয়েছে।” মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত জুবায়দা মারুফা সোহা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার আমাদের স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। আমরা তাঁর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। এত দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ আগে কখনও দেখিনি। এই ধারা বজায় থাকলে যোগ্যরাই সামনে এগিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,“স্যার আমাকে সার্বিকভাবে নির্দেশনা ও সহায়তা দিয়েছেন। তাঁর দিকনির্দেশনার কারণেই আমরা মাত্র ১১২ টাকায় স্বচ্ছ নিয়োগ দিতে পেরেছি। নিয়োগের প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পেরেছি। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ মানেই ‘যদি কিন্তু’— এই ধারণা সমাজে প্রচলিত হয়ে গেছে। আমরা সেই ধারণা ভাঙতে চেয়েছি। শুরু থেকেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে এবং মাত্র ১১২ টাকায় সম্পন্ন করব— সেটিই করেছি। তিনি আরও বলেন,“আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে অগ্রগতি নিশ্চিত করা। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করা। আশা করি, নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি যোগ করেন,“জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা অনুযায়ী মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের সন্তানরা চাকরি পাবে। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশে ডিসি আশা প্রকাশ করেন, তারা যেন কর্মক্ষেত্রে সেবার মনোভাব নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা শিরিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোনাব্বর হোসেন, সহকারী কমিশনার সায়মা রাইয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।                                                                                 
				
			 | 
		
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ | 
