| 
			
							
			
			 ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৬ বছর, কবে উদ্বোধন হবে রাণীশংকৈলের মডেল মসজিদ! 
			
			মো: সবুজ ইসলাম, রাণীশংকৈল 
			
			
			 | 
		
			
			![]() ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৬ বছর, কবে উদ্বোধন হবে রাণীশংকৈলের মডেল মসজিদ! এত বছর হলেও কবে উদ্বোধন হবে সেই মডেল মসজিদ এমন প্রশ্ন স্থানীয় মুসল্লীদের। আর মুসল্লীদের প্রশ্ন মসজিদটি চালু করার লক্ষে ঈমাম, মুয়াজ্জিন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ করা হলেও কেন চালু করা হচ্ছে না।  ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের তথ্যমতে, রাণীশংকৈল পৌরশহরের হ্যালিপ্যাড মাঠের প্রায় ৫০ শতক জমিতে মসজিদটি নির্মাণে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫২ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর তিন তলাবিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি আফরিদা, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আবুল কাশেম প্রমুখ। উদ্বোধনের পরে কাজটি ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করার চুক্তি থাকলেও প্রায় ৬ বছরে এসে দাঁড়ালেও মসজিদটির কাজ এখনো শেষ করতে পারে নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান  মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লি. অ্যান্ড পারভেজ কন্সট্রাকশন লিমিটেড (জেভি)।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের প্রায় সব কাজ শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে কিছু কাজ আটকে থাকলেও নামাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না এমন কথা জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, কয়েকবছর পার হলেও মসজিদটি উদ্বোধন হলো না। আমি সহ এলাকাবাসী আশা রাখছি,  অতি শিগগির মসজিদটির কাজ সম্পূর্ণ করে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ার টেকার আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বছরের শুরুর দিকে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও সে লক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আজও কি কারণে উদ্বোধন হচ্ছে না আমরা জানি না। ফিল্ড সুপারভাইজার  ফরহাদুর জামান বলেন,  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ভ্যারিয়েশনের কারণে কাজ স্থগিত আছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মসজিদে নামাজ শুরু না হওয়ায় আমরা প্রতিদিন হতাশ হচ্ছি। পাশের উপজেলাগুলো  এত বড় প্রকল্পের সুফল পেলেও আমরা রাণীশংকৈল বাসী এখনো পাচ্ছিনা। আমাদের প্রত্যাশা দ্রুত উদ্বোধন করা হোক এই মসজিদটি। ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজিদার রহমান মুঠোফোনে বলেন, মসজিদটি উদ্বোধনের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ ও নতুন কিছু কাজ অন্তর্ভূক্তির কারণে ভ্যারিয়েশন প্রক্রিয়াধীন আছে, ভ্যারিয়েশন অনুমোদন পেলেই ঠিকাদার অতিদ্রুত কাজ শেষ করতে পারবে এবং উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাজিদা বেগম বলেন,এ উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। উদ্বোধনের বিষয়ে জানিনা তাই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।  | 
		
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ | 
