|
আফগানিস্তানকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের মন্ত্রীর
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() আফগানিস্তানকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের মন্ত্রীর দুই দেশের মধ্যে কীভাবে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা যায় তা নিয়ে শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা রোববার পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মধ্যেই শনিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আফগানিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হলেই ‘যুদ্ধ শুরু হবে’। এর আগে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী এক সংঘাতের পর কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহায় উভয়ের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি সূচিত হয়েছিল। সীমান্তে পাল্টাপাল্টি ওই সংঘাতে বহু মানুষ নিহত ও আরও কয়েকশ আহত হন। “আমাদের কাছে বিকল্প আছে, কোনো চুক্তি না হলে, তাদের সঙ্গে আমাদের বিস্তৃত যুদ্ধ হবে,” পাকিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর শিয়ালকোটে এমনটি বলেছেন আসিফ। “কিন্তু আমি দেখছি যে তারা শান্তি চায়,” বলেন তিনি। ইস্তাম্বুল থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তুরস্কে দুই পক্ষের মধ্যে ‘প্রায়োগিত স্তরের আলোচনা’ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী সমাধান আসবে। এই আলোচনায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি নাজিব। পাকিস্তান তাদের প্রতিনিধি দলের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। গত রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে তা এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে ২ হাজার ৬শ’ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্ত আছে যা ডুরান্ড লাইন নামে পরিচিত। এই সীমান্ত স্বীকার করে না আফগানিস্তান। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায়ই ছোটখাটো সীমান্ত সংঘাত বেঁধে যায়। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের অভিযোগ, জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানে বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী হামলা পরিচালনা করছে। আফগানিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও এই নিয়েই দুই দেশের সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা থেকে তীব্র সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
