|
মহেশখালীর কুখ্যাত ডাকাত রহমত উল্লাহ পতিতার ডেরা থেকে আটক
আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ, কক্সবাজার
|
![]() মহেশখালীর কুখ্যাত ডাকাত রহমত উল্লাহ পতিতার ডেরা থেকে আটক বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা লাইট হাউজ কটেজ জোনের হিল সাইট রিসোর্টের একটি পতিতার ডেরায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। অভিযানকালে রহমত উল্লাহকে এক ভাড়া করা নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় বলে সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, নিজ বাড়িতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রহমত উল্লাহ নিয়মিত কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন কটেজ ও হোটেলে ভাড়া করা নারীদের সঙ্গে সময় কাটাত। পাশাপাশি পাহাড়ি জনপদে সে দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার, অস্ত্র বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গ্রেফতারকৃত রহমত উল্লাহ মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের মুকবেকী এলাকার মৃত ফিরোজ আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও জিডি দায়ের রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলাগুলো হলো- এফআইআর নং ৩৫/১৫০, তারিখ: ১৮ জুলাই ২০২০- (অস্ত্র আইন ১৮৭৮), এফআইআর নং ৩৪, তারিখ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪- (মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২), এফআইআর নং ৬/১২১, তারিখ: ০৬ জুলাই ২০২০- (দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর বিভিন্ন ধারা), জিডি নং ১৭৪৫, তারিখ: ২৯ নভেম্বর ২০২২, চাঁদাবাজি মামলা নং ২১/২৫, তারিখ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫। স্থানীয়দের ভাষায়, রহমত উল্লাহর মতো ভয়ঙ্কর অপরাধীর গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি। পাহাড়ি এলাকা এখন শান্ত হবে বলে আশা করছি। দীর্ঘদিন ধরে রহমত উল্লাহর বাহিনী শাপলাপুর ও কালারমারছড়ার পাহাড়ি এলাকায় খুন, চাঁদাবাজি, মানবপাচার ও অস্ত্র বাণিজ্য চালিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সে পালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। রহমত উল্লাহর গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
