ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ৬ কার্তিক ১৪৩২
বাউফলে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে মতবিরোধ
মোঃ আল আমিন আকন
প্রকাশ: Wednesday, 22 October, 2025, 10:18 PM

বাউফলে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে মতবিরোধ

বাউফলে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে মতবিরোধ

পটুয়াখালীর বাউফলে আসন্ন বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। মেলার আয়োজনকে ঘিরে একদিকে স্থানীয় শিল্প, সংস্কৃতি ও কুটির শিল্পের টিকিয়ে রাখার দাবি উঠেছে; অন্যদিকে শহরের একমাত্র খেলার মাঠে মেলা বসানোয় পরিবেশ, যানজট ও শব্দ দূষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

মেলার আয়োজক বাউফল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকারের নিয়মনীতি মেনেই এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশীয় পণ্য, মৃৎশিল্প, কামার-কুমার ও কুটির শিল্পের বিকাশ এবং শিশুদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে নাগরদোলা, চরকি, সাম্পানওয়ালা, ভুতের বাড়ি, পানির হাউজসহ নানা আয়োজন থাকবে। প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও ইমাম কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সবাইকে অবহিত করে সম্মতিতেই মেলার আয়োজন হচ্ছে। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে গুটি কয়েকজনকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা ও পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার বলেন, এসব সংস্কৃতি ও কুটির শিল্প আমাদের ঐতিহ্য এগুলোকে টিকিয়ে রাখা সমাজের নৈতিক দায়িত্ব।

উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. ইছাহাক বলেন, প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমাজ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী কিছুই মেলায় হবে না। তবে অবশ্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে মেলা হওয়া উচিত। একই মত প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারাও।
শিল্পী অমল বণিক বলেন, সংস্কৃতি ও কুটির শিল্প আজ টিকে থাকার লড়াই করছে। গ্রামীণ বাণিজ্য মেলা এসব শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখে এবং সমাজকে অপরাধ থেকে দূরে রাখে।

মৃৎশিল্পী বরুণ পাল বলেন, তামা-পিতলের জায়গা নিয়েছে স্টিল, আর মাটির পণ্যের প্রচলন কমে যাওয়ায় আমরা হারিয়ে যাচ্ছি। গ্রামীণ মেলা আমাদের টিকিয়ে রাখার মাধ্যম।

অন্যদিকে, মেলার বিরোধীরা বলছেন, শহরের একমাত্র পাবলিক মাঠটি খেলার মাঠ হিসেবেই থাকা উচিত। মেলার অবকাঠামো তৈরি শুরু হওয়ায় শিশুদের খেলাধুলা, স্থানীয়দের হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া মাঠের চারপাশে রয়েছে আবাসিক বাড়িঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেখানে মেলা বসলে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পাবে এবং যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহআলম বলেন, আবাসিক এলাকায় মাসব্যাপী মেলা জনগণের কাছে অসন্তুষ্টির কারণ। ফাহিম ফয়সাল বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা সামনে। এখন কোনো মেলা নয়, প্রশাসনের উচিত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা।

ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, নভেম্বরের শুরুতেই সমাপনী পরীক্ষা। এই সময় মেলা আয়োজন শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কারণ হবে। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলেও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে কেউ ঐতিহ্য ও শিল্প সংস্কৃতি রক্ষায় মেলার পক্ষে, কেউ আবার শহরের শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় মেলার বিপক্ষে।






পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status