২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, আমির হামজা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ
আলমগীর কবির, আলফাডাঙ্গা
|
![]() ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, আমির হামজা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ আমির হামজা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সাইরুদ্দিনের ছেলে এবং চান্দড়া নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চর চান্দড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবার ভীতরে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তারা বস্তাটি খুলে শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমির হামজার পিতা সাইরুদ্দিন জানান তাঁর ছেলে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার পোশাক পরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল, এরপর আর ফিরে আসেনি। এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মধুখালি সদর সার্কেল মো: আজম খান ও আলফাডাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার মো: লিয়াকত আলী সহ পুলিশের একটি চৌকস টিম ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত ছাত্র আমির হামজার সহকর্মী বন্ধু একই মাদ্রাসার ছাত্র উপজেলার চর চান্দড়া গ্রামের মো:জাহিদুল ইসলাম ফকিরের ছেলে মো:ফরহাদ রেজা (১৬) কে সন্দেহ হওয়ায় তার স্বীকারোক্তিতে আমির হামজাকে পরিকল্পিত ভাবে সে হত্যা করেছে মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। হত্যাকারী ফরহাদ রেজা থানা হাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ফরহাদ রেজা কে গ্রেফতারের পর ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার মধুখালি সদর সার্কেল মো: আজম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে হত্যার বর্ননায় বলেন, নিতহ আমির হামজার নিকট থেকে ২০ টাকা ধার নিয়েছিল একই মাদ্রাসার ছাত্র ফরহাদ রেজা, সে টাকা না দেওয়ার কারণে তাকে তার পিতা মাতাকে তুলে আমির হামজা গালিগালাজ করার কারণেই তাকে তাদের বাড়ীতে নেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পারিবারিক করব স্থানে দাফন করা হয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |