কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় সাংবাদিক হেনস্তা, টোকেনের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢুকে গ্রাম সিএনজি
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় সাংবাদিক হেনস্তা, টোকেনের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢুকে গ্রাম সিএনজি একসময় কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গ্রাম সিএনজিগুলো ঢুকতো একটি বিশেষ নিয়মে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একই কায়দায় ঢুকে তবে আগের চেয়েও ভয়ংকর কায়দায়। অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে সাম্প্রতিক সরেজমিনে গিয়ে কথিত ড্রাইভার নেতা নিজেকে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের অনুসারী দাবিকরা ইমরান গংদের রোষানলে পড়েন জাতীয় দৈনিক নতুন সময় পত্রিকার জেলা করসপনডেন্ট বিধান বিশ্বাস। সূত্রে জানা যায়, সিএমপি কমিশনারের একটি ভালো উদ্যেগকে কলুষিত করছেন কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশের টিআই আর কিছু অসাধু সার্জেন্ট- রেকার। এবং তার সাথে যোগ হয়েছেন নব্য বিভিন্ন দলীয় পরিচয় ব্যবহার করা কিছু চাঁদাবাজ ড্রাইভার শ্রেনীর কথিত নেতা। রাতারাতি বনে গেছেন শ্রমিক নেতা। কাপ্তাই রাস্তার মাথা ট্রাফিক পুলিশ বক্স এখন গুটিকয়েক কথিত নেতার জন্য আলাদীনের চেরাগ খ্যাত স্থান। ড্রাইভারদের সুযোগ সুবিধা দেয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট-রেকাররা ভালোই মালপানির সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছেন কথিত মব সৃষ্টিকারী ইমরান গংদের। জান যায়, কাপ্তাই সড়কের গ্রাম সিএনজিগুলো মেট্টোতে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে সিএমপির ট্রাফিক পুলিশ। যদিও যাত্রী ভোগান্তি চরম সীমায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছু ব্যাক্তি বিশেষের গ্রাম সিএনজি ট্রাফিক পুলিশের সবুজ সংকেতে রাস্তার মাথা পর্যন্ত যায় এবং কথিত অভিযানে সিএনজি আটক হওয়ার পর সংকেত প্রাপ্ত গাড়ী ট্রাফিক বক্সের সামনে থেকে বীরদর্পে ছাড়িয়ে নেন ইমরান গংরা। অবশ্য টিআই-সার্জেন্টরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন বিশাল অংকের লেনদেনের মাধ্যমে। অভিযানে যে গাড়ির সবুজ সংকেতে নাই সে গাড়ি টু(Taw) হয় নিমিষেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৈনিক ৩০/৪০ টা সিএনজি টু হয়। তারমধ্যে আলাদীনের চেরাগ খ্যাত সিন্ডিকেটের ১ শতের ওপরে যে গাড়িগুলো মাসিক ২০০০(দুই হাজার) টাকা করে দেয় সে গাড়ি টু হবেনা হলেও অল্প খরচে গাড়ি ছাড়ানোর ব্যবস্থাতো আছেই। এতো গেল সিএনজির আংশিক গল্প। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার আরও ভয়ংকর চিত্র। ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদককে বিধান বিশ্বাস জানান, যাত্রীদের সাথে ড্রাইভাররা খারাপ ব্যবহার করছে দেখে টিআই সাহেবকে না পেয়ে বক্সে থাকা সার্জেন্ট ছোটন, সার্জেন্ট শুভ এবং সার্জেন্ট জগন্নাথ ছিলেন, উনাদের ব্যাপারটা বলেছি। উনারা দেখবেন বলে গিয়ে তিনটা গাড়ি আটক করে নিয়ে এলেন এবং টু করার নাটক সাজালেন ইমরান গংরা সাজেন্ট ছোটনের সরাসরি ইন্ধনে। মবের সৃষ্টি করলেন ইমরান গংরা। চান্দগাঁও থানার মোহরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুমন এসে এ মব থেকে আমাকে উদ্ধার করেন, জানান সাংবাদিক বিধান বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমার অভিযোগ সার্জেন্ট ছোটনের বিরুদ্ধে। সার্জেন্ট ছোটন ইমরান গংদের দিয়ে মব করে হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কাপ্তাই রাস্তার মাথা নিয়ে সাংবাদিকরা কিছু বললেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদের রুখবে কে! এরা কি প্রশাসনের চেয়েও শক্তিশালী! ওদের খুঁটির জোর কোথায় সাধারণ জনগণের প্রশ্ন একটাই। অভিযোগের সত্যতা সার্জেন্ট ছোটন যা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম উত্তরের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নেছার আহমেদ এর কাছে মুঠোফোনে, সেখানে আমি স্ব শরীরে উপস্থিত ছিলাম কমিশনার মহোদয়ের কক্ষে। আমার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি সার্জেন্ট ছোটন এবং ইমরান গংদের সতর্ক করেন। বিধান বিশ্বাস আরও বলেন, চট্টগ্রাম উত্তর (ট্রাফিক) পুলিশের সদ্য যোগ দেয়া এডিশনাল পুলিশ কমিশনার আমাকে আশ্বস্ত করেন এটার একটা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দৈনিক ৩০/৪০ টা গ্রাম সিএনজি টু করা হয় নিরীহ ড্রাইভারদের। সোগুলো ছাড়ানোর ভয়ংকর ফাঁদ পেতেছেন একই গংদের ভিন্ন চেহারার লোক। যাদের বিচরণ খুলশীর ডিসি অফিসে। আসছে ধারাবাহিক প্রতিবেদন। সাথেই থাকুন। দৈনিক নতুন সময়ের সাথে থাকুন। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |