দেশের শীর্ষ উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() দেশের শীর্ষ উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক শনিবার (১৮ অক্টোবর) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ উদ্ভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও প্রাইজ টোকেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ; এবং মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.), চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমরা প্রায়ই নিজেদেরকে হীনভাবে দেখি এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। অথচ আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই রয়েছে অসীম সম্ভাবনা—তাদের উদ্ভাবনী শক্তিই পারে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রযুক্তি মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে। আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা চাই এই ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমন উদ্ভাবনী প্রকল্প বেরিয়ে আসুক, যেখানে আইসিটি ডিভিশন বিনিয়োগ করতে পারে। এসব প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, প্রযুক্তি এমনভাবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও এই উদ্যোগগুলোর সুফল পায়। প্রযুক্তিনির্ভর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই আগামী বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন)-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা উদ্ভাবকদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবে এবং জাতীয় স্বীকৃতি পাবে। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনভিত্তিক উদ্যোগ ও স্টার্টআপগুলো আরও এগিয়ে যাবে। বিন-এর জেনারেল সেক্রেটারি মুন এম. রাজীব বলেন, আমরা একটি সহযোগিতামূলক ইকোসিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক ও পেশাজীবীরা একসাথে কাজ করছে। লক্ষ্য হলো—উদ্ভাবনকে জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এ বছর সারাদেশ থেকে ২৫৫টি উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৯০টি বাছাই করা হয় এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন শেষে ৩২টি আইডিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের চ্যাম্পিয়ন, উইনার ও মেরিট—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে নয়টি উদ্যোগ। এর মধ্যে শিক্ষার্থী শ্রেণিতে মিস্ট-এর রাডসেফ, রুয়েট-এর বৃত্ত ডট এক্সওয়াইজেড, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কেয়ার হুইলচেয়ার, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সেফ স্টেপ; ব্যক্তিগত শ্রেণিতে সেবার জানালা – ইমপ্যাক্টফিউজ কোয়ালিশন; এবং প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে ফাস্ট অ্যাডভান্সড অব বাংলাদেশ (এমটিবিএম), সিনেসিস আইটি পিএলসি, রাইজআপ ল্যাবস ও রোবোলাইফ টেকনোলজিস। উইনার ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী শ্রেণিতে পুরস্কৃত হয়েছে ব্র্যাকইউ মঙ্গলতরী, ড্রেইনসেন্স, হাইব্রিড ফ্রড শিল্ড, অজগর এবং সহপাঠী এআই। প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে সফটবিডি লিমিটেড, ইনোভেক্স আইডিয়া সলিউশন লিমিটেড, ও ইক্সোরা সলিউশন লিমিটেড পুরস্কার পায়। মেরিট ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী শ্রেণিতে পুরস্কৃত হয়েছে দোকান, সোলারশিল্ড, গ্লুসনিক, ব্লিংকটক, বার্তাপ্রহরী এবং স্টাইলঅন; প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে জেনওএস অটোমোটিভ অপারেটিং সিস্টেম, ন্যাশনাল জব পোর্টাল ও পেপ্রোটেক্ট সম্মাননা পায়। দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের অনুপ্রেরণা জোগাতে এবং প্রযুক্তিনির্ভর রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস এখন এক জাতীয় উদ্ভাবন উৎসবে পরিণত হয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |