রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতি জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম এক অনন্য দৃষ্টান্ত
মো. সহিদুল ইসলাম সুমন
|
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক, স্বাধীনতার ঘোষক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তার পরিচিতি হলেও বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসেও তিনি রেখে যান এমন কিছু কীর্তি, যা তাকে ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবং বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান তার এই কীর্তিকে অতিক্রম করে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের ছিল দুঃসাহসিক ভূমিকা।শেখ মুজিব বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে এদেশের গণতন্র কে যখন হত্যা করে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল তখন জিয়াউর রহমানই আলোর বর্তিকা হয়ে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তার সাথে সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রাহমান রেখে গেছেন সততা ও দেশ প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। একজন প্রকৃত নেতার মধ্যে অনেক গুণাবলি থাকা আবশ্যক। তার মধ্যে দেশপ্রেম ও সততা অন্যতম। দেশপ্রেম ও সততা শব্দ দুটি একে অন্যের পরিপূরক। এই সততা ও দেশপ্রেমের কারণেই শহীদ জিয়া এদেশের মানুষের প্রিয় নেতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আপদ মস্তক সৎ ও দেশ প্রেমিক রাষ্ট্র নায়ক। সততা আর দেশপ্রেমই ছিল জিয়াউর রহমানের মূল শক্তি। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন। তার স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন আজ ও তার সমকক্ষ কেউ হতে পারেনি। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধী ও কট্টর সমালোচকরাও শাহাদাতের পর তার সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ কারণেই এ দেশের জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।ব্রিটেনের বিশ্বখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘আয়রন লেডি’ নামে খ্যাত ব্যারোনেস মার্গারেট থ্যাচার তাঁর মৃত্যুর আগে অনুরোধ রেখে গিয়েছিলেন যেন তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় স্কটল্যান্ডের দেশপ্রেমিক কবি রবার্ট বার্নসের একটি গান পরিবেশিত হয়। সেটি ছিল, ‘আই প্লেজ টু দ্য, মাই কান্ট্রি’। অর্থাৎ ‘হে আমার দেশ, আমি তোমার কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম’। বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির কাছে সেভাবেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় গান ছিল, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ/জীবন বাংলাদেশ, আমার মরণ বাংলাদেশ’। এ গানটি তাঁকে উদ্বুদ্ধ করত। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেন সমগ্র জাতিও এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মরহুম মোহাম্মদ আবদুল গফুর তার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ‘যারা সারাজীবন কোনো দিন ক্ষমতা পাওয়ার কথা ভাবেননি, কেবল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করে গেছেন, তাদের চোখেও জিয়া ছিলেন নায়ক। যেমন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। তিনি জিয়াউর রহমানকে সীমাহীন মূল্য দিতেন। মওলানা ভাসানী অনেক সময় তার নিজের দলের লোকদের বিরুদ্ধে কথা বললেও জিয়াউর রহমান সম্বন্ধে কোনোদিন সমালোচনা করেননি। আমি নিজে একবার মওলানা ভাসানীকে এ বিষয়ে বলেছিলাম, হুজুর, আপনি অনেক সময় নিজের দলের লোকদের সমালোচনা করেন, কিন্তু আপনাকে কখনও জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করতে দেখিনি, এর কারণ কী? মওলানা সাহেব বলেন, দেখ আবদুল গফুর, তুমি তো রাজনীতি দেখছো অনেক দিন ধরে, আর আমি দেখছি তোমার চেয়েও বেশিদিন ধরে। তুমি আমাকে এমন একজন লোকের নাম বলো, যে জিয়ার মতো সৎ, নির্দোষ ও দেশপ্রেমিক। সত্যই মওলানা ভাসানীর একথার মধ্যে এতটুকু অতিরঞ্জিত কিছু নেই। মানুষ হিসেবে জিয়ার সততা ছিল তুলনাহীন। দেশকে, দেশের মানুষকে জিয়া কত ভালোবাসতেন, তার তুলনা ছিল না। জিয়া রাজনীতি করেছেন, তবে তার রাজনীতির মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না সম্পদ গড়ে তোলার চিন্তা। একারণে দেশের মানুষও তাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসতো। জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে লিখেছেন (তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন ) জিয়াউর রহমান নিজে ছোট একটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। যে গাড়িটি ব্যবহার করতেন তাতে এয়ারকন্ডিশন ছিল না, এটা তেমন কোন দামি গাড়িও ছিল না। তাঁর নিরাপত্তার জন্য আজকের মতো আগে-পিছে, ডানে-বামে দামি গাড়ির বহর ছিল না। খুবই সাধারণ। সামনে একটি পুলিশের গাড়ি থাকত। একজন সার্জেন্ট আর তার সাথে কিছু পুলিশ।জিয়াউর রহমান সাহেব মন্ত্রীদের বলেছিলেন, আপনারা কখনও সিগন্যাল অমান্য করবেন না, আইন কানুন মেনে চলবেন। একবারের একটি কথা মনে আছে। প্রেসিডেন্ট সাহেব রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা হলেন। এডিসি সাহেব মারসিডিজ গাড়ি পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সাহেব গার্ড অব অনার নিয়ে ফিরে এসেই দেখেন যে সেখানে মারসিডিজ গাড়ি প্লেস করা আছে। এটা দেখে তিনি এডিসি সাহেবের ওপর চটে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, এ গাড়ি কে পাঠিয়েছে? এডিসি সাহেব বললেন, এমএসপি সাহেব পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া রাগান্বিত হয়ে তার বেতনের টাকা থেকে গাড়ির তেলের টাকা কেটে রাখার নির্দেশ দিলেন। পরে তিনি ডিসি সাহেবকে তার গাড়িটি প্লেস করার কথা বললেন এবং ফেরিঘাটের রাস্তাটি দেখার জন্য ডিসি সাহেবের সেই ছোট গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব কেবিনেট মিটিংয়ে মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেখেন আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। আমার দেশ খুবই গরিব দেশ। পৃথিবীর সবাই তা জানে। আমাকে সি অফ করার জন্য বা রিসিভ করার জন্য এতোগুলো লোক এবং এতো গাড়ি বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার দরকার হয় না। এসব অপব্যয় বিদেশিরা দেখেন এবং তারা মনে করেন, তাদের পয়সা দিয়ে এসব অপব্যয় করা হচ্ছে। রাত্রিবেলা আপনারা যখন আমাকে রিসিভ করে ফিরেন, তখন মনে হয় যেন বিমানবন্দরে আগুন লেগে গেছে। সব লোক পালাচ্ছে। গাড়ির বহর একসাথে বের হচ্ছে। সুতরাং এখন থেকে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহেব যাবেন।বিশ্বের সফল ও বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দরিদ্র ও অনগ্রসর দেশ; যা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় দোদুল্যমান, তাতে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোতে তাকে স্থাপন করে, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তি সুদৃঢ় করে, উন্নয়নের রাজপথে তাকে চলমান করিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া ছাড়া বিশ্বের ইতিহাসে খুব বেশি কারও আছে বলে আমার জানা নেই। জিয়াউর রহমান যে শুধু বাংলাদেশের জনগণের মন জয় করতে সমর্থ হয়েছিলেন, তাই নয়, বহির্বিশ্বেও একজন শান্তিকামী ন্যায়পরায়ন নেতা হিসেবে তার সুনাম ছিল। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে। একথা যে কোনো রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের স্মরণে থাকার কথা, মুসলিম বিশ্বের দু’টি দেশ ইরান ও ইরাক অতীতে যখন পরস্পর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, মুসলিম বিশ্বের নেতৃবর্গ জিয়াউর রহমানের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবার জন্য। মুসলিম বিশে^র নেতৃবর্গের নিকট জিয়াউর রহমান কতটাবিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পেরেছিলেন যে, তার ওপর এত বড় দায়িত্ব দিতে একমত হতে পেরেছিলেন, সেটা ভাবলেও অবাক হতে হয়।মোট কথা, জিয়াউর রহমান যে ক্ষেত্রেই হাত দিয়েছেন, কী যুদ্ধক্ষেত্রে, কী দেশের কর্ণধার হিসাবে পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে, কী দেশের উন্নয়নে সর্বত্রই তিনি সাফল্যের উচ্চতম শীর্ষে উঠে দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি যেমন অন্য কারও তুলনায় পিছিয়ে নন, তেমনি তার দেশও অন্য কোনো দেশ হতে পিছিয়ে নয়। তার সময়েই বাংলাদেশ ১৯৭৮ সালে জাপানের মতো শক্তিধর দেশকে পরাজিত করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ লাভ করে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মহামুক্তির সনদ ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং এই ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি গঠন করেন। দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন ছিল, তিনি সেই সময়টুকু পাননি। যারা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অপছন্দ করত, জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে ঈর্ষা করত, এদেশ বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক যারা তা চাইত না, সেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর ইশারায় কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তারা এদেশের জনপ্রিয় প্রাণপ্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১সালের ৩০ মে হত্যা করল।রাষ্ট্রপতি জিয়ার শাহাদাতের পর ১৯৮১ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট আয়োজিত এক সভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কমনওয়েলথের তদানীন্তন মহাসচিব স্যার সিদ্ধার্থ রামফাল বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়া বাংলাদেশে শুধু একদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই প্রতিষ্ঠা করেননি; এ উন্নয়নকর্মী দেশকে সার্বিক উন্নয়নের রাজপথে পরিচালিত করেছিলেন।’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ‘সার্ক’-এর মাধ্যমে ঐক্যের বন্ধনে গ্রথিত করা ছিল তাঁর এক স্বপ্ন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার অকালমৃত্যুতে তাঁর দেশ একজন দক্ষ, সৎ সংগঠক ও সফল রাষ্ট্রনায়ককেই শুধু হারাল না, দক্ষিণ এশিয়া হারাল এক দূরদর্শী স্বাপ্নিক অগ্রপথিককে, উন্নয়নশীল দেশ-গোষ্ঠী হারাল এক সৃষ্টিধর্মী নেতা, কমনওয়েলথ হারাল সৌভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী এক মহান ব্যক্তিত্বকে। জিয়াউর রহমান সততা ও দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক কালজয়ী মহান নেতা। একটি জাতি গঠন ও দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন সত্ ও দেশপ্রেমিক নেতাই যথেষ্ট। আমরা মনে করি জীবিত জিয়ার চেয়ে মৃত জিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী। জিয়াউর রহমান আজ বেঁচে নেই, কিন্তু আছে তার রেখে যাওয়া ১৯ দফা কর্মসূচি,বেগম খালেদা জিয়ার ২৭ দফা এবং সর্বশেষ জনাব তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রুপরেখা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন, তার সততা, দেশপ্রেম, জনগণের ভালোবাসা, তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি। আরও আছে তার যোগ্য উত্তরসূরি ও তার সহধর্মিণী সাবেক তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন, জনগণের আপসহীন নেত্রী এদেশের গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপতি জিয়ার সুযোগ্যা ও স্বার্থক উত্তসুরী, তারুণ্যের অহংকার, আগামীর রাষ্ট্র নায়ক ও এ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক জনাব তারেক রহমান। এই তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামী দিনে দেশপ্রেমিক জিয়ার সব আদর্শ, ভাবনা, চিন্তা ও উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।এবং বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, যা শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল। এটাই এদশের গ্ণমানুষের প্রত্যাশা। লেখক : কলামিস্ট ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |