বাউল গানের আসরে হামলা হাতের কব্জি কর্তন আহত ৪
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত (৫ অক্টোবর) শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউসিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে বাউল গানের আসরে এ-ই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৬৫), মুক্তার হোসেন (৩৭), শাকিল (২৩) ও হামিম (১৪)।আহত চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের ফজলুল করিমের সঙ্গে প্রতিবেশী বাসেত মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত রজমান মাসে ফজলুল করিমের ভাতিজা সজিব চায়নিজ কুড়াল দিয়ে বাসেদ মিয়াকে কুপিয়ে জখম করেন। আহত বাসেদকে হাসপাতালে নিয়ে যান আরেক প্রতিবেশী নুরুজ্জামান। এ ঘটনায় নুরুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফজলুল করিম ও তার স্বজনরা।ওই ঘটনার জের ধরেই গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের সজিব, জাহাঙ্গীর, ফজলুল করিম, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসানসহ আরও কয়েকজন বগি দা, রামদা, ছুরি দিয়ে নুরুজ্জামানের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুত্ব আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীরা নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ওই সময় আহত লোকজনের চিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া নুরুজ্জামান বলেন, আমি ঝগড়ার মধ্যে ছিলাম না। আর এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। সন্ত্রাসীরা শুধু শুধু আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি শুধু একজন আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার অপরাধ। সন্ত্রাসী সজীব বগি দা দিয়ে কোপ দিয়ে আমার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তাদের হাসপাতালে আগত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে নুরুজ্জামান ও মুক্তার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তার হোসেনের গায়ের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহত অপরজন হামিমকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টা ৩০ ঘটিকায় খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয় রাত ৩ ঘটিকায় সময় দুষ্কৃতিকারীরা ট্রলারযোগে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলে আবারও ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরন করা হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর হামলাকারীরা সবাই পলাতক। অভিযোগ দায়ের চলমান । অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |