ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া আনোয়ারুল আজিম হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন ঝিনাইদহের কোটচাদপুর পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসি আক্তারুজ্জামান শাহিন।
বুধবার কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুলকে হত্যা করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে সেটির ভাড়াটিয়াও তিনি।
কলকাতা পুলিশের সিআইডি সূত্র জানায়, আখতারুজ্জামান শাহিনের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এমপি আজিমের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আখতারুজ্জামান শাহিন পালিয়ে গেছেন, না পুলিশের হাতে আটক তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, শাহিন কলকাতা থেকে দেশে ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন।
কলকাতার সিআইডি বলছে, এই প্রবাসি বেশির ভাগ সময় নিজ এলাকা, ঢাকা ও কলকাতায় বাসা ভাড়া করে থাকে। তার সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেতা, ব্যবসায়ী, প্রশাসনের বড় কর্মকর্তাদের সখ্যতা রয়েছে।
শাহিনের বাড়ি কোটচাদপুর শহরের পুরানো খেয়াঘাট এলাকাতে। গ্রামের বাড়ি উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে।
ওই গ্রামে অনেক জায়গা নিয়ে শাহিনের বাগান বাড়ি রয়েছে। সেখানে মদ, নারী, উচ্চ পর্যায়ের কর্তাসহ রাতের আড্ডা ও খানাপিনা চলে, নাচ গানও হতো নিয়মিত।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, যেই ফ্ল্যাটটিতে সংসদ সদস্য এসে উঠেছিলেন সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (প্রবাসী বাংলাদেশি) বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে।
চিকিৎসার জন্য গত আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর কলকাতায় এমপি আনার খুন হন বলে বুধবার খবর আসে। তবে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে একটি গাড়ি আটক করেছে কলকাতা নিউ টাউন পুলিশ।