ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে পোস্ট অফিস সংলগ্ন ২০১৫ সালে নির্মিত হওয়া লোহার ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত ৮ বছরে ফুটওভার ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে মরিচায় ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফলে ছোট বড় এবং মাঝারি ধরনের ছিদ্র চোখে পড়ছে। পথচারীদের চলাচলের সময় সামান্য অসতর্কতায় ঘটতে পারে যে কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সতর্কতার জন্য লাল কাপড় ঝুলিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মিত ৬টি ফুটওভার ব্রিজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মিরসরাই পৌর সদরের ব্রিজটি। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই ব্রিজটির বর্তমানে সিঁড়িগুলো মরিচায় ক্ষয়ে গেছে, সিঁড়িগুলো প্রচুর ব্যবহারের কারণে লেভেল হয়ে যাওয়ায় পা পিছলে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে ইতোমধ্যে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর মানুষ পারাপারের জন্য মিরসরাই উপজেলার ৩০ কিলোমিটার সড়কে ৬টি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ। এগুলো হচ্ছে মিরসরাই সদর, বড়দারোগাহাট, নিজামপুর কলেজ, বারইয়ারহাট, ধুমঘাট ও চৈতন্যেরহাট। একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে প্রায় ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে। কিন্তু এগুলো স্থাপনের পর রক্ষণাবেক্ষণ না করায় অনেক অংশে দেখা দিয়েছে ত্রুটি। নিচ দিয়ে গাড়ির দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ওপরে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারেও জীবনের ঝুঁকি কমছে না।
মিরসরাই পৌর বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মিরসরাই পৌর সদরে ফুটওভার ব্রিজটি বহুল ব্যবহৃত হয়। সড়কের একপাশে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস অন্য পাশে মিরসরাই ডিগ্রি কলেজ, সাব রেজিস্ট্রি অফিস এবং জনবহুল বাজার। শত শত মানুষ প্রতিদিন দৈনন্দিন প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পারাপার হতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (মিরসরাই সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত) নুরে আলম বলেন, মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে। কিছু মানুষ ওপরে না উঠে আইল্যান্ড টপকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ফুটওভার ব্রিজটি দ্রুত মেরামত দরকার।
মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফুটওভার ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। আমি চট্টগ্রাম জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আমি গতকাল এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিনের কাছে জেনেছি। এখনো দেখতে পারিনি। এ সপ্তাহের মধ্যে আশা করি ঠিক করা হবে।