ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মার্কিন ভিসানীতি, নিষিদ্ধদের তালিকা ও একদল অর্বাচীন
সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী
প্রকাশ: Saturday, 30 September, 2023, 7:57 PM

মার্কিন ভিসানীতি, নিষিদ্ধদের তালিকা ও একদল অর্বাচীন

মার্কিন ভিসানীতি, নিষিদ্ধদের তালিকা ও একদল অর্বাচীন

মে মাসের ২৪ তারিখে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ওপর মার্কিন ভিসানীতি আরোপের বিষয়ে। চলতি মাসের ২২ তারিখ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হলো ভিসানীতি কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওমনি শুরু হয়ে গেলো গুজব কারখানাগুলোর তাণ্ডব। তালিকা প্রকাশ হতে শুরু হলো। ভাবখানা এমন যেনো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি কিংবা ব্রিটেনে পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী তারেক রহমান এবং ওনার গুজব বাহিনীর পৈতৃক সম্পত্তি। কাদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করে হচ্ছে এটা একমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই জানতে পারবেন। তাও ভিসার জন্যে দরখাস্ত করার পর কিংবা আগে ইস্যুকৃত ভিসা নিয়ে মার্কিন ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হওয়ার পর। এর বাইরে এসব তথ্য মার্কিন প্রশাসন চাইলে প্রকাশ করতে পারে। যেমনটা ওরা করেছে আফ্রিকা মহাদেশের একটা দেশের ক্ষেত্রে। এই দুই পদ্ধতির বাইরে ভিসা নিষিদ্ধ ব্যক্তির সম্পর্কে কোনোকিছু জানা প্রায় অসম্ভব। 

এবার অনেকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এটা আমি জানলাম কীভাবে। সরল উত্তর হলো, এটার চাক্ষুষ প্রমাণ আমার হাতে এসেছে যেকোনো একটা খুব বিশ্বস্ত সূত্র থেকে - দালিলিক প্রমাণ সহ। এবার যদি কেউ জানতে চান, আমিই কেনো এটা পেলাম, অন্যরা পেলেন না কেনো। উত্তর সহজ। এসব জানতে হলে দুটো বিষয় জরুরী। প্রথমত অনুসন্ধানী সক্ষমতা দ্বিতীয়ত যোগাযোগ। এ দুটোই আমার আছে। আমেরিকায় কিংবা পশ্চিমা বিশ্বে আমার যোগাযোগের পরিধিটা কদ্দুর এটা জানতে কিংবা বুঝতে হলে যেধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন এটা না থাকলে কেউই বুঝবেন না কোনোকিছু। বিনয়ের সাথে এটুকু বলি, যারা আমাকে ২০০২ সালের আগ অব্দি জানেন, ওনাদের অনেকেই জানেনা আজকের শোয়েব চৌধুরী সম্পর্কে অনেককিছুই। আগেও একাধিকবার বলেছি, ২০০২ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকার যখন জঙ্গিবাদের মুখোশ উন্মোচনের অপরাধে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে তখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে শুরু করে অনেক পত্রিকা আমার পক্ষে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে আর কারো পক্ষেই নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় প্রকাশ করেনি, এমনকি ইউনূস সাহেবের পক্ষেও না।

আমার পক্ষে মার্কিন কংগ্রেস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও অষ্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে একাধিক বিল পাস হয়েছে - তাও সর্বসম্মত ভোটে। এটা ইউনূস সাহেবের ক্ষেত্রে ঘটেনি আজ অব্দি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে এসে আমার সাথে দেখা করেছেন এবং পরবর্তীতে কংগ্রেসে ওনারা প্রকাশ্যে বলেছেন বাংলাদেশে ওনাদের সফরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিলো আমার সাথে দেখা করা। এটাও ইউনূস সাহেবের ক্ষেত্রে এখন অব্দি ঘটেনি। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে আমার মিত্র কিংবা বন্ধু কারা, কতোটা গভীর এই সম্পর্ক এটা বাংলাদেশের কেউকেউ নিজেদের চোখেই দেখেছেন। এমন বহু কারণেই আমার পক্ষে যা জানা সম্ভব তা অনেকের পক্ষে অসম্ভব। 

মনে রাখতে হবে, ২০০৭ সালে মার্কিন কংগ্রেস আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত ইংরেজী পত্রিকা ব্লিটজ-কে আখ্যা দিয়েছে "মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা" হিসেবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই পত্রিকা নিয়ে একটা ঢাউস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এসব ঘটনাও এখন অব্দি অন্য আর কোনো অ-মার্কিন পত্রিকার ক্ষেত্রে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। 

এতো বিরাট ফিরিস্তি কেনো দিলাম সেটা বলছি। এটা না দিলে অনেকেই হয়তো আমাকে "জাস্ট এ জার্নালিস্ট" ভাবতেন।

এবার আসবো ভিসানীতি প্রসঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করতেই পারে। এটা অন্য যেকোনো দেশও করতে পারে। ভিসানীতি নতুন কিছুও নয়। প্রত্যেকটা দেশেরই নিজস্ব ভিসানিতি থাকে। সব দেশই নিজস্ব ভিসানীতির আলোকে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ধরে নিই আজ যিনি ব্রিটেন, ক্যানাডা, চীন কিংবা ভারতের ভিসা পাচ্ছেন, আগামীতে তিনি এটা পাবেনই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

গুজরাট দাঙ্গার পর ভারত নরেন্দ্র মোদীর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হওয়ার পর আমেরিকা শুধু ওনার ভিসা নিষেধাজ্ঞাই প্রত্যাহার করেনি, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে মোদিকে হোয়াইট হাউজে বিনয়ের সাথে স্বাগত জানান। আর নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরের সময় তো মার্কিন প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন, মার্কিন কংগ্রেসসহ প্রত্যেকেই রীতিমত তোয়াজ করেছে। কারণ একটাই, আমেরিকা এখন জানে, নরেন্দ্র মোদী আরো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকবেন। পাশাপাশি ভারতের বিরোধী দলগুলো নিজেদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কান্ড পৃথিবীর কোথাও ঘটায় না। আজ অব্দি শুনিনি ভারতের বিরোধী দল কিংবা রাহুল গান্ধী নিজের দেশের কিংবা ক্ষমতাসীন বিজেপির বিপক্ষে আমেরিকা কিংবা পশ্চিমা বিশ্বে কোটি ডলার খরচ করে লবিইষ্ট নিয়োগ করেছেন। এটা ভারতীয়রা কখনোই করেনা। কারণ ওদের আত্মমর্যাদা আছে, দেশপ্রেম আছে। যা দুঃখজনকভাবে বিএনপি-জামাত কিংবা তারেক রহমানের নেই। তারেক রহমান ও তাঁর লোকজনেরা নিজেদের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে সামান্য দ্বিধাও করেন না। এর কারণ, ওনাদের ভেতর দেশপ্রেম নেই। 

বিএনপি নেতারা যদিও মুখে বলছেন আমেরিকা ওনাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় কিন্তু বাস্তবে ওনারাও জানেন, মার্কিনীদের মনের খবর। ওনারা এটাও জানেন, ইউক্রেইনে প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর পরও আমেরিকা কুলিয়ে উঠতে পারছেনা। আফগানিস্তান থেকে ওরা রীতিমত পালিয়েছে। ইরাক কিংবা লিবিয়ায় একই অবস্থা। প্রায় তিন বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে "কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই" ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়ে এখন বাইডেন প্রশাসন ওই আসাদের সাথেই নতুন প্রণয় শুরু করেছে। ভিয়েতনাম, যেখানে বাহ্যিক অর্থেই একদলীয় শাসন সেখানে আমেরিকা সম্পর্ক গভীর করার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত। খোদ বাইডেন ছুটে গেছেন হেনোয়-তে সম্পর্ক গভীর করার অভিপ্রায়ে। আফ্রিকার যে ক'টা দেশে বাইডেন প্রশাসন ওদের কথিত গণতন্ত্রের গবেষণা চালাতে গেছে সেখানে এখন একেবারেই হযবরল পরিস্থিতি।

প্রশ্ন হলো, শুধুমাত্র বিএনপির লবিইষ্ট তৎপরতার কারণেই কি আমেরিকা বাংলাদেশ নিয়ে এতো আগ্রহী? উত্তরটা একদম সহজ। আমেরিকা যদি বিএনপির দিকেই ঝুঁকে পড়তো তাহলে এতদিনে বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের পক্ষে ওরা একটা হলেও বিবৃতি দিতো। কিন্তু এটা ওয়াশিংটন করেনি। কারণ, ওরা জানে, খালেদা জিয়া জেল খাটছেন দুর্নীতির অভিযোগে। আর তারেক রহমান সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত হলো, তিনি "খুবই ভীতিকর" এক দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। এই কথাটাও আমার অনুমান নির্ভর নয়। একদম অকাট্য দালিলিক প্রমাণ হাতে রেখেই এটা আমি বলছি।

তাহলে আরেক প্রশ্নের উদ্রেক হবে। আমেরিকা যদি এটাই বিশ্বাস করে যে তারেক রহমান "খুবই ভীতিকর" এক দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি, তাহলে বাইডেন প্রসাধন কেনো ক্ষমতাসীন "আওয়ামীলীগের বিপক্ষে উঠেপড়ে লেগেছে"। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে একটা কথা বলে রাখি। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থামাতে হলে ভারতের সহযোগিতা ছাড়া আমেরিকা অক্ষম। মানে, এটা একটা ভূ-রাজনৈতিক খেলার অংশ। এই খেলায় আমেরিকার প্রাধান্য চীনের আধিপত্য থামিয়ে দেয়া। আওয়ামীলীগ-কে ক্ষমতাচ্যুত করে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো নয়। তাছাড়া তারেক রহমান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। তিনি ২০০৪ সালের দোষ ট্রাক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত। কারণ ওই ঘটনার সাথে ওনার সরাসরি সংযুক্তি ছিলো। আরো সহজ করে বললে, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতা দিয়ে ভারত ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রের সাথে তারেক রহমান সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। একারণেই ভারত চাইবেনা তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন কোনো দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসুক। আর ভারতের এই জোরালো আপত্তির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এটা চাইবেনা। এক্ষেত্রে একটা সমাধান হয়তো ভারত ও আমেরিকার কাছে আছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিহীন বিএনপিকে সমর্থন দেয়া। এখানেও কিছু যোগবিয়োগ হবে। দশ ট্রাক অস্ত্র কিংবা জঙ্গিবাদের সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও দল থেকে মাইনাস করা। এমন যোগবিয়োগের অংকটা বিএনপির নবীন নেতৃত্বের কেউকেউ এরই মাঝেই জানেন। ওনাদের সাম্প্রতিক বডি লেঙ্গুয়েজ বা দেহের ভাষাতেও বিষয়টা পরিষ্কার। ওনারা এটাও জানেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ শীর্ষ আরো কিছু নেতাকে মাইনাস করতে হবে। অর্থাৎ বিএনপির ভেতরেই একটা দৃশ্যমান অভ্যুত্থান ঘটবে। এই সম্ভাব্য অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করতেই সম্প্রতি তারেক রহমান ২৫ জন সাবেক সামরিক অফিসারকে দলে টেনেছেন, যাদের কেউকেউ খুবই বিতর্কিত। মানে, একজন মিলিটারি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির ঘরের ভেতরের অভ্যুত্থান প্রতিরোধে তারেক রহমান একটা শক্তিশালী মিলিটারি উইং গড়তে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, বিএনপি অভ্যন্তরীণ সংঘাত আর মারদাঙ্গার দিকেই এগোচ্ছে।

ফিরে যাই ভিসানীতি প্রসঙ্গে। এই নীতি কার্যকরের মাধ্যমে আমেরিকা তিন টেক্কার দুটো খেলে দিয়েছে। হাতে আছে আর এক টেক্কা। আর সেটা হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্লোবাল ম্যাগনেস্কি অ্যাক্ট এর অধীনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোয় ওনাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমে কাবু করার চেষ্টা। কিন্তু এসব করতে অন্তত কয়েক সপ্তাহ লাগবে। তাছাড়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তির বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনধরনের আইনী বাধা নেই। মানে, আমেরিকা যা-ই করুক, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতা কিংবা পথ আমেরিকার নেই। 

এমন বাস্তবতায় বিএনপির নবীন নেতৃত্ব, যাদের অনেকেই সুশিক্ষিত এবং আন্তর্জাতিক আইনকানুন সম্পর্কে ওয়াকেবহাল ওনারা চাচ্ছেন দলটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিযোগিতায় নামুক। কারণ, ওনারা বিশ্বাস করেন, জনপ্রিয়তার নিরিখে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। এখানে বাধা একটাই। লন্ডনে পালিয়ে থাকা দন্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী তারেক রহমান চাচ্ছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে। কিন্তু এটায় আমেরিকার আপত্তি। ভারতেরও আপত্তি। ওরা চায় তারেক রহমান মুক্ত বিএনপি। ওরা কেউই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চায় না। এখানেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করার ক্ষেত্রে বিএনপির দোটানা মনোভাবের মূল রহস্য। তারেক রহমান নিজেও জানেন, আমেরিকা এবং ভারত তাঁর প্রতি অখুশি। এমনকি তিনি গত কয়েকমাস যাবৎ ব্রিটেনে মার্কিন কূটনীতিকদের সাথে প্রকাশ্যে বৈঠক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ভারতের কোনো কূটনীতিক তাঁর সাথে দেখা করতে অনিচ্ছুক। এমনকি চীন কিংবা রাশিয়ার কূটনীতিকরাও একজন দন্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীর সাথে দেখা করার ঝুঁকি নিতে চান না। এক্ষেত্রে তারেক রহমানের একমাত্র ভরসা পাকিস্তান। বর্তমান বাস্তবতায় অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত এবং রাজনৈতিক লেজেগোবরে অবস্থার তাণ্ডবে পাকিস্তান নিজেই অস্তিত্ব সংকটে।

তাহলে আগামী দিনগুলোয় বিএনপির ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে? আবারও কি দলটি ২০১৩-১৪ সালের মতোই আগুন সন্ত্রাস আর নাশকতার ছক আঁটছে? নাকি আরো ভয়ঙ্কর কোনো মতলব আছে ওদের মস্তিষ্কে? শুনেছি সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেয়া ২৫ সাবেক সেনা অফিসারের অন্তত একজন 'হিট এন্ড রান' পরিকল্পনার অধীনে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চালানোর বিষয়ে তারেক রহমানের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা করছেন। এমনটা হলে তো দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতি তৈরি হবে। আশাকরি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই বিষয়টার দিকে নজর রাখছে। 

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status