ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
এনইআইআর চালু ঠেকাতে সরকার পতনের ইঙ্গিত!
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Saturday, 22 November, 2025, 7:20 PM
সর্বশেষ আপডেট: Saturday, 22 November, 2025, 8:28 PM

এনইআইআর চালু ঠেকাতে সরকার পতনের ইঙ্গিত!

এনইআইআর চালু ঠেকাতে সরকার পতনের ইঙ্গিত!

দেশে অবৈধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রি (এনইআইআর) চালুর ঘোষণা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি’ নামে একটি সংগঠনের সমাবেশে সংগঠনটির এক সহ-সভাপতি ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

সমাবেশে ওই নেতা বলেন, ছোট্ট একটা ইস্যু থেকেই অনেক সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। তার এই মন্তব্যকে অনেকেই বর্তমান সরকারের প্রতি পরোক্ষ হুমকি হিসেবে দেখছেন। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি কোনো সাধারণ ব্যবসায়িক অসন্তোষ নয়; বরং সরকারের বৈধ পদক্ষেপ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল।


সমাবেশে যে বক্তব্যে অতীতের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সেটিকে গভীর ষড়যন্ত্রের লক্ষণ বলেও মন্তব্য করেছেন কয়েকজন বিশ্লেষক।

এনইআইআর চালু হলে অবৈধ, চোরাই, রিফারবিশড ও কাগজবিহীন মোবাইল ফোনগুলো নেটওয়ার্কে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এ পদক্ষেপের ফলে অবৈধ ডিভাইসের বড় অংশ বাজার থেকে বের হয়ে যাবে। মোবাইল শিল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশে অবৈধ ডিভাইসের বাজারের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এনইআইআর কার্যকর হলে এই বিপুল ব্যবসা হুমকিতে পড়বে—এ কারণেই সংশ্লিষ্ট একটি সিন্ডিকেট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে তারা মনে করেন।


শিল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবি, দেশের কিছু রিফারবিশড ও অবৈধ ফোন আমদানিকারক অতীতে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগও রয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থান এবং এনইআইআর বাস্তবায়ন এই সিন্ডিকেটের স্বার্থে আঘাত হানায় তারা এখন আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

আইসিটি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছিলেন, অবৈধ ডিভাইস বন্ধে এনইআইআর বাস্তবায়ন করা হবে এবং কোনো ধরনের হুমকি বা চাপ গ্রহণযোগ্য হবে না। 

সাধারণ গ্রাহক ও প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, অবৈধ ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। 

উওল্লখ্য: ২০২১ সালে বিটিআরসি যখন জাল আইএমইআই ও চোরাচালান ফোন বন্ধে NEIR চালুর উদ্যোগ নেয়, তখনই মুখোশ খুলে পড়ে অবৈধ মোবাইল ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের। কর ফাঁকি দিয়ে গড়া এই চক্রের রাজনৈতিক ছায়া ছিল এতটাই গভীর যে উদ্যোগটি নীতিনির্ধারণী টেবিলেই থেমে যায়। অভিযোগ ছিল—সিন্ডিকেটটির সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা। ফলে বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর চোরাচালানকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ২০২১ সালের সেই ব্যর্থতা আজও দেশের মোবাইল বাজারে বিষফোড়া হয়ে আছে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status