|
হাই কোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলমকে অপসারণ
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() হাই কোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলমকে অপসারণ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে বুধবার অপসারণ করেছেন বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে তিনি ‘সঠিকভাবে’ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে প্রজ্ঞাপনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের পুনর্বহাল করা অনুচ্ছেদ ৯৬ এর দফা (৬) এর বিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করেছেন। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারককে অপসারণের দাবি ওঠে। এরপর ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এসব বিচারপতিদের একজন খুরশীদ আলম সরকার, যিনি ২০১১ সালে হাই কোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর তিনি স্থায়ী হন। এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ অপসারণ করা হয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে। পরে ২১ মে আরেক বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত নামার তথ্য দিয়েছিল। সেদিন বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তা তদন্ত শুরু করবে। তারও আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ছুটিতে পাঠানো ১২ বিচারপতির মধ্যে আতাউর রহমান খান নভেম্বরে এবং আশীষ রঞ্জন দাস ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান। স্থায়ী না হওয়ায় বিচারক আসন থেকে ১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন আমিনুল ইসলাম ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলন। কানাডা থেকে পদত্যাগ করেন শাহেদ নূরউদ্দিন। তারপর ২০ মার্চ অপসারণ করা হয়ে বিচারপতি খিজির হায়াতকে। এরপর দিলীরুজ্জামান ও খুরশীদ আলমের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হল। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
