|
মনোনয়ন পাওয়ার এক দিন পর স্থগিত, কে এই কামাল জামান মোল্লা?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() মনোনয়ন পাওয়ার এক দিন পর স্থগিত, কে এই কামাল জামান মোল্লা? মনোনয়ন স্থগিত হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যদি আমার বাইরে কাউকে নমিনেশন দেওয়া হয় তাহলে এ সিট-ই পাবে না বিএনপি। আর সেই ক্ষমতাও কারও নেই। মাদারীপুর-১ আসনে এমপি বানাতে হলে আমাকেই নমিনেশন দিতে হবে। আমার বাইরে কারও জনসমর্থন ও লোকজন নেই। কামাল জামান মোল্লা বলেন, ‘এলাকার জনসমর্থন আমার সঙ্গে আছে, আমি কাজ করছি, দল আমাকে নমিনেশন দিয়েছে, দেবে। আমার কনফিডেন্স আছে।’ জানা গেছে, কামাল জামান মোল্লা শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার নাম ঘোষণা করার পর মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করে মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকরা। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার কামাল জামান মোল্লার নাম স্থগিত ঘোষণা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়। অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো। এ বিষয়ে কামাল জামান মোল্লা বলেন, উনি (সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী) ১০০ থেকে ১২০ জন নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আমি যদি প্রতিহত করতে যাইতাম আমার ওই এলাকারই ৫ হাজার লোক যেত। কিন্তু আমি সবাইকে নিষেধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারাই ৩০ মিনিটের মধ্যে সব ঠিক করে দিয়েছেন। এ ছাড়া নমিনেশন অনেকেই চায় কিন্তু অনেকে পায় আবার অনেকে পায় না, এ ঘটনা আগেও অনেক ঘটেছে। তবে আমরা প্রতিহত করতে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি, তাই যাইওনি। তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন স্থগিত করছে কি না তা আমি এখনো জানি না, তবে শুনেছি। এজন্য বিষয়টি জানার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি। তবে স্থগিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লা ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিকভাবে তার পরিবারও বেশ প্রভাবশালী। তার ভাই লতিফ মোল্লা শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে তার দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
