|
বিতর্কিত রেজুলেশন ঢুকিয়ে দিয়ে
কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর করে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
![]() কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর করে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ গত ৩০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম পৌর প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত অভিযেগে এ তথ্য জানা যায়।কুড়িগ্রাম পৌরসভার কালীবকসী ৬নং- ওয়ার্ড ভেলাকোপা গ্রামের মৃত সহিদুল ইসলামের এতিম পূত্র মো. বিপ্লব মিয়া উল্লেখিত অভিযোগ করেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব মিয়া তার পিতার রেখে যাওয়া সাড়ে ৭ শতক বসত বাড়িতে বিধমা মা সহ বসবাস করে আসছিলো। এমতবস্থায় বিপ্লব মিয়ার বাড়ির সীমানা সংলগ্ন কুড়িগ্রাম খলিলগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক গোলাম রব্বানী নয়ন বিপ্লবদের বসত বাড়ির ৩ শতক জমি দখল করে পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের পায়তারা করে। বিপ্লব মিয়া লিখিত ভাবে বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে কুড়িগ্রাম পৌরপ্রশাসক উক্ত জমি পরিমাপ সহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহুতল ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কুড়িগ্রাম পৌরসভার সার্ভেয়ার রূপলাল রবীদাস এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ভুমি পরিমাপ করলেও বিপ্লবকে উক্ত ভূমি পরিমাপের সার্ভে রিপোর্ট দেই দিচ্ছি করে দিচ্ছিলো না। বিপ্লব মিয়ার অভিযোগ সার্ভেয়ার রূপলাল রবীদাস তার প্রতিপক্ষ প্রভাষকের কাছে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে সার্ভে রিপোর্ট দিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে বিপ্লব আরও বলেন, ইতোপূর্বে উক্ত সার্ভেয়ার নালিশী ওই জমির একটি সঠিক সার্ভে রিপোর্ট দিয়েছিলো। এখন বিতর্কিত কিংবা ভুয়া রিপোর্ট দিলে তার আইনগত সমস্যা হতে পারে ভেবে বর্তমান আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অর্থ আদায়ের কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সার্ভে রিপোর্টটি দিচ্ছে না। অপরদিকে প্রতিপক্ষ প্রভাষক গোলাম রব্বানী নয়ন নালিশী ওই জমিতে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোন উপায় অন্ত না দেখে ওই প্রভাষক পৌর সার্ভেয়ার রূপলাল রবীদাস ও পৌরসভার একজন সহকারী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে একটি বিতর্কিত প্লান পাশের রেজুলেশন করে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন কাজের ফাইলে ওই বিতর্কিত রেজুলেশ ঢুকিয়ে দিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সহি স্বাক্ষর নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে এমনকি সহি করে নেয়া হয়েছে। এমন খবর পেয়ে বিপ্লব মিয়া অবশেষে পূনঃরায় পৌর প্রশাসক বরাবর নালিশী ওই জমির যতক্ষণ পর্যন্ত সার্ভে রিপোর্ট প্রদান করা না হয়, ততোক্ষণ পর্যন্ত বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে বিপ্লব মিয়া জানান, আমি এতিম বলে কুড়িগ্রাম পৌরসভা আমাকে এতবেশি হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি করছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। অপরদিকে প্রভাষক নয়ন, পৌরসভার সার্ভেয়ার রূপলাল রবীদাস কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। পৌর প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
