|
হেমন্তের বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আবদ্ধ জলে, ভোগান্তীতে পৌরবাসী
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন
|
![]() হেমন্তের বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আবদ্ধ জলে, ভোগান্তীতে পৌরবাসী শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে সারারাত। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আরামবাগ, শান্তিমোড়, বাতেনখাঁ মোড়, পুরাতন বাজার, নিউমার্কেট, উদয়ন মোড়সহ অনেক স্থানে পাকা সড়ক পেরিয়ে ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস ও রাস্তার পাশের দোকানে জমে যায় বৃষ্টির পানি। জলাবদ্ধতায় অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ঘরের সামনে পানি জমায় অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। কারও কারও রান্নাঘর-টিউবওয়েলের কিছু অংশ ডুবে গেছে পানির নিচে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হযেছে। বিদ্যমান ড্রেনগুলোর অচলাবস্থা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌরসভার অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আগে অনেক বৃষ্টি হলেও বাসাবাড়িতে কখনো পানি ওঠেনি। কিন্তু রাতের বৃষ্টিতে বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। ফলে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েতে হয়েছে। তারা আরো বলেন, ৯৮ সালের বন্যার সময় বসতবাড়িতে এমনভাবে পানি উঠেছিল। কিন্তু এরপর এতো বর্ষাকাল গেলো কিন্তু রাতভোর এমন বৃষ্টি আমরা আর দেখিনি, এমন জলাবদ্ধতাতেও আমরা পড়িনি। আর তাই বর্ষাকাল পেরিয়ে হেমন্তের হঠাৎ বৃষ্টিতে বসতবাড়িতে যেমন পানি উঠেছে ঠিক তেমনি জেলার বিভিন্ন ছাত্রাবাসে পানি ঢুকে পড়ে বই-খাতা ভিজে গেছে। ঘর থেকে পানি নিষ্কাশনে পেরেশানি হওয়ায় আমরা অনেকেই বিপাকে পড়েছি। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বেশ কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই সাময়িক কষ্টকে মেনে নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে অনুরোধ জানায়। কারণ শহরে জমে থাকা পানি মেশিনের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। আশা করি ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। স্বস্থি পাবে সাধারণ জনগন। ### |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
