|
শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নেতৃত্বের দাবিতে বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাকসু ডায়ালগ’
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নেতৃত্বের দাবিতে বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাকসু ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির বাকৃবি শাখা, বাকৃবি সলিডারিটি সোসাইটি, বাকৃবি দ্বীনি কমিটি ও গ্রীণ ভয়েসসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আলোচনায় বক্তারা শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক, প্রশাসনের ভূমিকা, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, খাবারের মান, এবং নেতৃত্বের শূন্যতা নিয়ে খোলামেলা মতামত প্রকাশ করেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরার এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একমাত্র প্ল্যাটফর্ম হতে পারে বাকসু। ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য দ্রুত বাকসু নির্বাচন দিতে হবে।' ![]() শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নেতৃত্বের দাবিতে বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাকসু ডায়ালগ’ পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হিমেল বলেন, 'আমাদের সমস্যাগুলো সবাই জানে, কিন্তু সমাধানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেই। প্রশাসনের পদক্ষেপগুলোও ধীরগতির। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর ছাত্র সংসদ দরকার।' নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জাবিন তাসনীম বলেন, 'ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ব্যর্থ। যৌন হয়রানির ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া ধীর এবং অনির্দিষ্ট। যদি বাকসু থাকতো, এসব সমস্যার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান সম্ভব হতো।' দ্বীনি কমিটির প্রতিনিধি মারুফ বিল্লাহ বলেন, 'শিক্ষার্থীরা যখন কোনো দাবি নিয়ে শিক্ষকদের কাছে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়— তুমি কে? বাকসু থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি হয়ে কথা বলার সুযোগ পেত। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতো।' ![]() শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নেতৃত্বের দাবিতে বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাকসু ডায়ালগ’ তিনি আরও বলেন, 'আমাদের বোনদের রাস্তায় নেমে নিরাপত্তা দাবি করতে হচ্ছে— এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। প্রশাসনের ব্যর্থতা এর স্পষ্ট প্রমাণ।' আলোচনায় বক্তারা সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দ্রুত বাকসু নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
