|
ড্যাফোডিলের ঘটনার প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত: প্যারাডাইস ব্যাচেলর হোস্টেলে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ড্যাফোডিলের ঘটনার প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত: প্যারাডাইস ব্যাচেলর হোস্টেলে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে ভিডিও ফুটেজে যা দেখা গেছে: প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা যায়, গভীর রাতে সিটি ইউনিভার্সিটির বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অস্ত্রসজ্জিত হয়ে প্যারাডাইস ব্যাচেলর হোস্টেলে হামলা চালায়। হোস্টেলের ভেতরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলার দৃশ্য ফুটেজে স্পষ্ট। কিছু শিক্ষার্থীকে দড়ি বেঁধে নির্যাতন ও অপহরণের ঘটনাও সেখানে ধরা পড়ে। ফুটেজে আরও দেখা গেছে, অপহরণের সময় ও হামলার পরপরই সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্ররাই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন কোনো গাড়িতে আগুন বা বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। পরবর্তী সময়ে পরিবহন পোড়ানোর ঘটনাটি নাটকীয়ভাবে সাজানো হয়েছে, এমন ইঙ্গিত মিলেছে ভিডিও বিশ্লেষণে। পেট্রোল বোমা প্রস্তুতির প্রমাণ: একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী নিজেরাই পেট্রোল বোমা তৈরি ও ব্যবহার করছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, এসব ভিডিওই প্রমাণ করে যে পুরো ঘটনাটি ছিল একটি পরিকল্পিত নাটক, যার মাধ্যমে দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। ভুয়া তথ্য ও মামলা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি: ঘটনার পর করা মামলায় উল্লেখ করা হয় যে “ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্রোন ব্যবহার করে হামলা করেছে”। কিন্তু স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ড্রোন ব্যবহারের কোনো ঘটনা তারা দেখেননি। ড্যাফোডিল প্রশাসনের দাবি, এটি ছিল মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ, যা মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অংশ। মূল পরিকল্পনাকারী চিহ্নিত: ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে ফাহাদ নামের এক ব্যক্তি, যিনি ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। সে সিটি ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে পুরো ঘটনাটি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, এটি একটি সংঘবদ্ধ স্বার্থান্বেষী চক্রের পরিকল্পিত নাটক, যার লক্ষ্য ছিল দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ও দাবি: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। তারা কোনো বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় অংশ নেয়নি এবং ঘটনাটির সমস্ত ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। ড্যাফোডিলের দাবি— প্যারাডাইস ব্যাচেলর হোস্টেলে হামলাকারী সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। যারা এই ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। ভুয়া মামলা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তত্ত্বাবধানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত টিম গঠন করা হোক। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমরা সত্য, শান্তি ও ন্যায়ের পথে আছি। সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রমাণ বিশ্লেষণই ঘটনার প্রকৃত চিত্র জাতির সামনে আনবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরীহ; তারা কেবল নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্যই দাঁড়িয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল শিক্ষার্থীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং কোনো গুজব বা উস্কানিতে প্রভাবিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
