|
ভূরুঙ্গামারীতে গাঁজা আটক, ৭৫ হাজারে দফারফা
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() ভূরুঙ্গামারীতে গাঁজা আটক, ৭৫ হাজারে দফারফা স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ইউনিয়নটির পাথরডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কামরুলের বাড়িতে ২৩ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আলম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুরুজ্জামান ব্যাপারী, আহবায়ক কমিটির সদস্য খলিলুর রহমান খলিল (ডিবি খলিল), ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির ছাত্র সমাজের সভাপতি কালাম, বিএনপি নেতা ফারুক, হাফিজুর, হাসেম ও শরিফুল কবির মনো ওই বাড়িতে একটি তালাবদ্ধ টয়লেটে গাঁজাগুলো খুঁজে পায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, একটি সূত্রে জানা যায় ওই বাড়িতে গাঁজা মজুত আছে। খবর পেয়ে নজরদারি চালাতে থাকে। পরে মাদক আটক করে মোটরসাইকেলে করে সরিয়ে নেওয়া হয়। গাঁজ বিক্রেতা সুজন গাঁজাগুলো ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে। গাঁজা আটককারীরা ১ লাখ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে গাঁজাগুলো ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে নগদ ৭৫ হাজার টাকার নিয়ে গাঁজাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে টাকা ভাগা-ভাগি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সাবেক সমন্বয়ক রুকনুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ দিন থেকেই আমরা এলাকায় মাদকবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকায় মাদক নির্মূল করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কড়া নজরদারি আশা করছি। স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদক আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে মাদক নির্মূলে অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সবাই সচেতন হলে ভূরুঙ্গামারীকে মাদকমুক্ত উপজেলায় রূপ দেওয়া সম্ভব। পাথরডুবি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হযরত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি উপজেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। অপরাধী যেই হোক, দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, দফাদারের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুরুজ্জামান ব্যাপারী বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় হট্টগোল দেখে সেখানে যাই। আলম (দফাদার) গাঁজা ধরে নিয়ে আসছে এটা দেখেছি, কিন্তু আমি জড়িত নই। প্রায় একই রকম বক্তব্য দেন শরিফুল কবির মনো। এছাড়া তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। দফাদার আলম হোসেনও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছুই জানি না। এই ঘটনায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
