ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১ কার্তিক ১৪৩২
পরীক্ষার হলে কাশি সংকেতে জালিয়াতি, দিনাজপুরে চাকরিপ্রার্থী আটক
নতুন সময় প্রতিনিধি
প্রকাশ: Saturday, 25 October, 2025, 2:21 PM

পরীক্ষার হলে কাশি সংকেতে জালিয়াতি, দিনাজপুরে চাকরিপ্রার্থী আটক

পরীক্ষার হলে কাশি সংকেতে জালিয়াতি, দিনাজপুরে চাকরিপ্রার্থী আটক

দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকার কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের প্রযুক্তিভিত্তিক জালিয়াতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। প্রশ্নের সেট নিশ্চিত করতে বারবার কাশি দেওয়ার মাধ্যমে সংকেত পাঠাতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসেন তিনি। পরে তাঁর শরীর তল্লাশি করে দুটি প্রযুক্তি-ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটে এই ঘটনা। আটক ব্যক্তির নাম কৃষ্ণকান্ত রায়। তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সম্প্রতি স্নাতক শেষ করেছেন। শহরের ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।

পুলিশ বলছে, কৃষ্ণকান্ত পরীক্ষার হলে একপ্রকার বিশেষ উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে কাশতে থাকেন। এতে সন্দেহ হলে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে তল্লাশি করে তাঁর কানের ভেতর লুকানো ক্ষুদ্র গোল ডিভাইস এবং গেঞ্জির সঙ্গে সাঁটানো আরেকটি যোগাযোগ ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল কেন্দ্রে একজন পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করছেন। বিশেষ নজরদারির ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

এক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দিনাজপুরের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্তত ৫৫ জন ডিভাইস ব্যবহার করেছেন। প্রতিজনের কাছ থেকে প্রশ্নফাঁসচক্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে নিয়েছে। পরীক্ষাশুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে। শহরের ফকিরপাড়া ও সুইহারি এলাকার দুটি ছাত্রাবাসে কয়েকজন শিক্ষক দ্রুত উত্তর তৈরি করে ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কানে বলে দিতেন।

অভিযোগ রয়েছে, শুধু লিখিত পরীক্ষাই নয়—ভাইভাতেও উত্তীর্ণ করানোর নিশ্চয়তার নামে আরও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়ার চুক্তি হচ্ছিল। স্থানীয় কিছু শিক্ষক ও প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীর সম্পৃক্ততারও দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, ঘটনাটি একটি বড় অপরাধচক্রের অংশ। আমরা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status