ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১ কার্তিক ১৪৩২
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে থাকা ডুরান্ড লাইন কী?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 23 October, 2025, 2:22 PM

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে থাকা ডুরান্ড লাইন কী?

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে থাকা ডুরান্ড লাইন কী?

ডুরান্ড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৮৯৩ সালে। ব্রিটিশ সরকার ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিত করতে আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন করে। চুক্তি ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব স্যার হেনরি মর্টিমার ডুরান্ডের নামে নামকরণ করা হয়।

আফগান আমির আব্দুর রহমান খান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
ডুরান্ড লাইনের পশ্চিম প্রান্ত ইরান সীমান্তের সঙ্গে মিশে এবং পূর্ব প্রান্ত চীন সীমান্তের সঙ্গে। আফগানিস্তানের ১২টি প্রদেশ এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান ও গিলগিত-বালতিস্তান এই রেখার দুইপাশে অবস্থান করছে।

উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই ‘গ্রেট গেম’ নামে পরিচিত। রাশিয়ার দক্ষিণমুখী আগ্রাসন রোধ করতে ব্রিটেন আফগানিস্তান আক্রমণ করে (১৮৩৯) এবং পরে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে।

১৮৭৮ সালের ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধের পর আব্দুর রহমান খানকে নতুন আমির হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডুরান্ড এবং আব্দুর রহমান খানের আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ হয়। চুক্তি এক পৃষ্ঠা দীর্ঘ এবং আফগান-ব্রিটিশ যৌথ জরিপের পর ১৮৯৪ থেকে ১৮৯৬ সালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়।

ব্রিটিশ রাজকর্মচারী ওলাফ কারো লিখেছেন, আলোচনার সময় আমির আব্দুর রহমান খান দ্বিধাগ্রস্ত হলেও বাস্তববাদী ছিলেন।
সীমান্ত সংক্রান্ত প্রতিটি কথোপকথনের রেকর্ড রাখা হয় এবং তা আজও আর্কাইভে রয়েছে। চুক্তিতে চিত্রাল ও ব্রোগিল পাস থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত সীমানা নির্ধারিত হয়। তবে ডুরান্ড লাইন আন্তর্জাতিকভাবে সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃত ছিল না। এটি মূলত আফগানিস্তানের ক্ষমতার সীমানা নির্ধারণের জন্য ছিল। ব্রিটিশরা উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে নিজেদের প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়নি।

১৩২ বছর আগে আফগানিস্তানের তৎকালীন আমির আব্দুর রহমান খান বলেছিলেন, ‘এই প্রথমবার একটি স্পষ্ট সীমান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয় এবং ব্রিটিশ অস্ত্রসস্ত্রের সাহায্যে আফগানিস্তান আরো শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে ওঠে।’

তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন ১৮৯৩ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রিটিশদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ডুরান্ড লাইন চুক্তি প্রসঙ্গে। তবে একই সময়ে তিনি আফগান প্রভাবের বাইরে থাকা কিছু বিশাল অঞ্চলের সার্বভৌমত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওই অঞ্চল বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান প্রদেশের অংশ।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের কারণে আবারও শিরোনামে এসেছে ডুরান্ড লাইন। চলতি মাসে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। আফগানিস্তান পাকিস্তানের সীমান্ত ও আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। পাকিস্তান যদিও কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে, তবে অনেক বিষয় এখনও অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কাছে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। আফগানিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়ে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যভিত্তিক আক্রমণ চালিয়েছে।

দোহায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তান-আফগানিস্তান বৈঠকে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব ডুরান্ড লাইনকে ‘কাল্পনিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান কখনোই এই সীমান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেবল আফগানরা।

ডুরান্ড চুক্তি কখন বিতর্কিত হয়ে ওঠে?

গবেষক সৈয়দ আতিফ রজা লিখেছেন, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর নবগঠিত পাকিস্তান ডুরান্ড চুক্তি উত্তরাধিকার সূত্রে গ্রহণ করে। কিন্তু সেই সময় পশতুনস্তান নামে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সীমান্তের দুইপাশে আন্দোলন শুরু হয়।

পাকিস্তান যখন জাতিসংঘে সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল, তখন আফগানিস্তান একমাত্র দেশ ছিল যা পাকিস্তানের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। আফগানিস্তান ডুরান্ড লাইনকে মানতে অস্বীকার করে এবং এটিকে ‘ব্রিটিশদের চাপের ফল’ হিসেবে অভিহিত করে। তারা এটিকে ‘নাল অ্যান্ড ভয়েড’ বা বাতিল হিসেবে বিবেচনা করে।

ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও আইনজীবী বিজান উমরানি লিখেছেন, আব্দুর রহমান খান চাপের মুখে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে আলোচনাগুলো এক মাস ধরে চলেছিল এবং স্যার মর্টিমার ডুরান্ড ও ভারত সরকারের মধ্যে আদানপ্রদান করা চিঠিপত্রে দেখা যায় যে চুক্তি প্রকৃতপক্ষে আলোচনা-সমৃদ্ধ ছিল। ব্রিটিশ সরকার আফগান সরকারের নির্দেশে কিছু অঞ্চল আফগান ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্মত হয়, যদিও পূর্বে সেগুলো ভারতের (তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত) অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো।

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জার্নাল অফ রিসার্চ সোসাইটি’-তে ইফতিখার আহমদ ইউসুফজাই ও হিমায়েত উল্লাহ ইয়াকুবি লিখেছেন, আমির আব্দুর রহমান খান চুক্তি অনুমোদনের জন্য দুররানি দরবার এবং লোয়া জিরগার আহ্বান করেছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে আমির, তার সভাসদরা এবং উপজাতি প্রধানরা চুক্তিতে সন্তুষ্ট ছিলেন।

পরবর্তীকালে আফগানিস্তানের বিভিন্ন সরকার যেমন আমানউল্লাহ খান, হাবিবুল্লাহ খান, শাহ মোহাম্মদ নাদির খান—এই চুক্তি মেনে চলেছেন। রাওয়ালপিন্ডি চুক্তি (১৯১৯), কাবুল চুক্তি (১৯২১), বাণিজ্য চুক্তি (১৯২৩) এবং ১৯৩০ সালে ডুরান্ড লাইনও দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিল। গবেষণা অনুযায়ী, ১৯২০ সালের পর আফগানিস্তান স্বাধীন ছিল এবং তারা চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখত, কিন্তু তা করেনি।

গবেষক ইফতিখার আহমদ ইউসুফজাই ও হিমায়েত উল্লাহ ইয়াকুবি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজনের পর পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তারা লিখেছেন, ‘সমস্যা দেখা দেয় যখন ব্রিটেন ভারত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দেয়।

আফগান সরকার দাবি করে, ১৮৯৩ সালের ডুরান্ড চুক্তির অধীনে ব্রিটেনের কাছে হস্তান্তর করা অঞ্চলগুলো এবার তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’ ব্রিটিশদের যুক্তি ছিল, এই অঞ্চলগুলো ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের অংশ ছিল এবং স্বাধীন পাকিস্তানের উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তরিত হবে। স্বাধীনতার পরও পাকিস্তান সেই নীতি অনুসরণ করে।

১৯৫০ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সেক্রেটারি নোয়েল বেকার হাউস অফ কমন্সে উল্লেখ করেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের সমস্ত অধিকার ও দায়িত্বের উত্তরাধিকারী পাকিস্তান এবং ডুরান্ড লাইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃত।’

আইন বিশেষজ্ঞ আহমের বিলাল সুফি বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন (অনুচ্ছেদ ৬২) অনুযায়ী, নতুন দেশ গঠনের সময় পূর্ববর্তী সব চুক্তি ও বাধ্যবাধকতা নতুন সরকারের কাছে স্থানান্তরিত হয়। তাই পাকিস্তান স্বাধীনতার পর বৈধভাবে ডুরান্ড চুক্তির ধারাবাহিকতা অর্জন করে। একই নীতি আন্তর্জাতিক আদালতের ক্ষেত্রে যেমন বুরকিনা ফাসো বনাম মালি এবং লিবিয়া বনাম চাদ মামলায় প্রয়োগ হয়েছে। তবে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে সেই স্বীকৃতি দেয়নি এবং নতুন রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করে।

গবেষণা অনুসারে, আফগান নাগরিকদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, ডুরান্ড চুক্তি ১০০ বছরের জন্য ছিল এবং ১৯৯৩ সালে মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু কোনো নথিতে এমন কোনো সময়সীমা উল্লেখ নেই। আহমের বিলাল সুফি বলেন, ১৯১৯ এবং ১৯২১ সালের পরবর্তী চুক্তিগুলোতেও কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। একশো বছরের মেয়াদ সংক্রান্ত ধারণা শুধুই জল্পনা।

আন্তর্জাতিক আইনের দিক থেকে, যদি আফগানিস্তান তার বাকি সীমান্ত (রাশিয়া, চীন, ইরান) স্বীকৃতি দেয়, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা ডুরান্ড লাইনকেও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি ব্রিটেনের ক্ষমতা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ডুরান্ড চুক্তি বাতিল হত, তাহলে আফগানিস্তানকে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের কাছে ফিরে যেতে হতো কিন্তু তারা তা করেনি।

১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল আফগানিস্তান। তখন তাদের যুক্তি ছিল, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ না সেখানকার পশতুনরা নিজেদের স্বাধীন বা পৃথক মর্যাদার বিষয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ওই বছরের অক্টোবর মাসে আফগানিস্তান নেতিবাচক ভোট প্রত্যাহার করে এবং পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এজাজ হায়দার উল্লেখ করেছেন, ১৯৬৩ সালের মে মাসের তেহরান চুক্তির পর দুই দেশের মধ্যে একটি অস্থায়ী সমঝোতা হয়। তবে ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে আফগান প্রধানমন্ত্রী সর্দার মোহাম্মদ দাউদ বাজাউরে সৈন্য পাঠালে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। আফগান বাহিনী সরিয়ে দিতে পাকিস্তান ও স্থানীয় উপজাতিদের এক বছর সময় লেগেছিল।

দাউদ ডুরান্ড লাইনের প্রবল বিরোধী ছিলেন এবং পশতুনস্তানের সমর্থক। পাকিস্তান তখন কাবুলকে চ্যালেঞ্জ জানায় যে সেখানকার পশতুনরা আফগানিস্তানে থাকতে চায় না কি পাকিস্তানে যোগ দিতে চায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য।

হায়দার লিখেছেন, ‘দাউদ ১৯৭৩ সালে জহির শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আবার পশতুনস্তানের জন্য প্রচার শুরু করেন এবং পাকিস্তানে পশতুন ও বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনও করেছিলেন। তার কট্টরপন্থী নীতির কারণে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, আবদুল রব রসুল সাইয়াফ, বুরহানউদ্দিন রব্বানী এবং আহমদ শাহ মাসুদসহ অনেক ধর্মীয় নেতা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যান।’ এরপর পাকিস্তানও পাল্টা কৌশল অবলম্বন করে।

বার্নেট রুবিন লিখেছেন, ‘১৯৭৫ সালে পাকিস্তান গোপনে আফগান ইসলামপন্থিদের একটি বিদ্রোহ সংগঠিত করেছিল যাতে দাউদকে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনায় বসার জন্য চাপ দেওয়া যায়।’ হায়দারের মতে, সর্দার মোহাম্মদ দাউদ সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, মিসর, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের কাছাকাছি যেতে শুরু করে।

রুবিন, দিয়েগো কার্ডোভেজ এবং সেলিগ হ্যারিসনের মতো বিভিন্ন লেখক উল্লেখ করেছেন যে ডুরান্ড লাইনের সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক ছিলেন দাউদ। লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘১৯৭৬ সালের জুন মাসে ভুট্টো কাবুলে যান এবং অগাস্টে দাউদ ইসলামাবাদে আসেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভুট্টো যদি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তি দেন তবে তিনি ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন।’

পরবর্তীকালে, ‘জেনারেল জিয়া-উল-হক ভুট্টোর বরখাস্তের পরেও একই নীতি অব্যাহত রেখেছিলেন এবং ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে কাবুলে চলে যান। ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে দাউদ আবার পরিদর্শনে আসেন। দাউদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ডুরান্ড লাইন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কি না।" "তিনি উত্তর দিয়েছিলেন সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর নিষ্পত্তি হবে।’ কিন্তু পরিস্থিতির বদলে যায়।

লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিন্তু ১৯৭৮ সালের ২৭শে এপ্রিল, দাউদ এবং তার পরিবার কমিউনিস্ট অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত অভ্যুত্থানে নিহত হন এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান (পিডিপিএ) ক্ষমতা গ্রহণ করে।’ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালের ২৪শে ডিসেম্বর আফগানিস্তান আক্রমণ করে। দশ বছর পরে, সোভিয়েত সেখান থেকে সরে আসে তবে এই অঞ্চলের জন্য এমন এক নতুন যুগ শুরু হয়েছিল যা ছিল সমস্যার ভরা।

‘এইভাবে, পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য, কাবুলের ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, দাউদের সঙ্গে সঙ্গেই সমাপ্ত হয়ে যায়।’

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status