ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১ কার্তিক ১৪৩২
সাবলেট নিয়ে শিশু অপহরণ, যেভাবে ধরল পুলিশ
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Thursday, 23 October, 2025, 1:36 PM

সাবলেট নিয়ে শিশু অপহরণ, যেভাবে ধরল পুলিশ

সাবলেট নিয়ে শিশু অপহরণ, যেভাবে ধরল পুলিশ

প্রথমে শিশু আছে এমন বাড়িতে সাবলেট হিসেবে ওঠেন তারা। এরপর শিশুর সঙ্গে সখ্য গড়ে সুযোগ বুঝে অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে করেন অপহরণ। শিশুকে অপহরণের পর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিতে চাইলে নির্যাতনের পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেন।

সম্প্রতি কামরাঙ্গীরচরে এমন এক কায়দায়তেই শিশু অপহরণ করেন ফয়সাল ও কাকলী দম্পতি। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এই দম্পতিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরের আলীনগর এলাকার একটি বাসা থেকে চার বছর বয়সী শিশু আব্দুল হাদি নূর নিখোঁজ হয়। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে নূরের মা দেখেন, সন্তান পাশে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, পাশের সাবলেটে থাকা দম্পতিও নিখোঁজ। তাদের ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, শিশুটি তাদের কাছে আছে। তবে কিছুক্ষণ পরই তাদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আশপাশে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে শিশুর মায়ের ইমো নম্বরে পাঠানো একটি ম্যাসেজ পাঠান সেই দম্পতি। ম্যাসেজে জানানো হয়, নূরকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাকে ফিরে পেতে মুক্তিপণ দিতে হবে ১ লাখ টাকা।

শিশুর মা গণমাধ্যমে বলেন, অপহরণকারীরা ইমোতে শুধু ম্যাসেজে কথা বলছিল, কিন্তু ফোন ধরছিল না। তারা ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, না দিলে ছেলেকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেয়।

কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে পরিবারটি প্রথমে অপহরণকারীদের কাছে ৫ হাজার টাকা পাঠায়। এরপর শিশুকে না পেয়ে তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। দুই দিন ধরে চেষ্টার পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অপহৃতের অবস্থান মিরপুরে শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে ফয়সাল ও কাকলী দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, সেই সঙ্গে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নূরকে।

জানা যায়, দম্পতিটি ১৫ দিন আগে আলীনগরের ওই বাসায় সাবলেট হিসেবে ওঠে এবং নূরের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। পরে শিশুর মায়ের ঘুমের সুযোগ নিয়ে চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অপহরণ করা হয়।

ডিএমপির কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন জানায়, এই দম্পতি নিয়মিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ভাড়া থাকত এবং সেখান থেকেই পরবর্তী টার্গেট নির্ধারণ করত। এরপর কোনো বাসায় সাবলেট হিসেবে উঠে শিশু অপহরণ করে হোটেলে আটকে রাখত। মুক্তিপণ না পেলে শিশু বিক্রিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, অপহরণকারীদের কাছে ১৫-২০টি সিম পাওয়া গেছে। এগুলোর একটিও তাদের রেগুলার ব্যবহারের সিম নয়। তারা মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, সাবলেট দেওয়ার আগে অবশ্যই ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র যাচাই এবং তাদের পেশা ও উৎস যাচাই করা জরুরি, যাতে এই ধরনের অপরাধ থেকে পরিবারগুলো সুরক্ষিত থাকে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status