|
ভারতে মানবপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশি ‘গুরু মা’ গ্রেপ্তার
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ভারতে মানবপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশি ‘গুরু মা’ গ্রেপ্তার তার নাম বাবু আয়ান খান, যিনি ‘জ্যোতি’ ও ‘গুরু মা’ নমেও পরিচিত। তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত মানব পাচারের ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। মুম্বাইয়ে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডারদের ‘আধ্যাত্মিক নেত্রী’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জ্যোতি। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তার ৩০০ অনুগামী রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুম্বাইয়ে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘গুরু মা’ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ভুয়া জন্মসনদ, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড ব্যবহার করে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। সম্প্রতি নথিপত্র যাচাইয়ে জালিয়াতি ধরা পড়লে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় পত্রিকা এনডিটিভি। তদন্তে জানা গেছে, ‘গুরু মা’-এর নেতৃত্বে একটি চক্র পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করাত। প্রথমে তাদের কলকাতায় কয়েকদিন রাখা হত। সেখানে ভুয়া জন্ম ও স্কুল ছাড়ার সনদ বানিয়ে দেওয়া হত। এরপর তাদেরকে মুম্বাইয়ে এনে শিবাজি নগর এলাকায় রাখা হত। প্রত্যেক কক্ষে তিন থেকে চারজন করে থাকতেন, আর তাদের প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার রুপি ভাড়া দিতে হত ‘গুরু মা’-কে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গুরু মা মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অধীন নিবন্ধিত ফ্ল্যাট ও ঘর দখল করে সেগুলো ভাড়া দিতেন। তিনি ২০০টিরও বেশি ঘর দখল করে লাখ লাখ রুপি আয় করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। এছাড়া, পাচারকৃত কিছু মানুষকে দেহব্যবসায় বাধ্য করারও অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিভিন্ন মহাসড়কে পাঠানো হত গ্রাহক ধরার জন্য। মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এটি শুধু অবৈধ অভিবাসন নয়, বরং একটি সুসংগঠিত মানবপাচার ও দেহব্যবসার চক্র। আরও কয়েকজন সহযোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।” পুলিশের অনুমান, এই চক্রের শিকড় বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে মুম্বাই পর্যন্ত বিস্তৃত। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
