তাড়াশে চেক প্রতারণা মামলায় প্রধান শিক্ষিকার ৩ বছরের কারাদণ্ড
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ
|
![]() তাড়াশে চেক প্রতারণা মামলায় প্রধান শিক্ষিকার ৩ বছরের কারাদণ্ড বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ ও অর্থঋণ আদালতের বিচারক মিশকাত শুকরানা এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি দেলোয়ার হোসেন মন্টু ও পেশকার আব্দুল রহমান। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ মহল সাংসারিক কাজে বিশেষ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তাড়াশ উপজেলা সদরের রাম চন্দ্র কর্মকারের ছেলে খোকন চন্দ্র কর্মকারের নিকট থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন ২০ লাখ টাকা, তাড়াশ উপজেলার শ্রী কৃষ্ণপুর গ্রামের ভাষা শেখের ছেলে ইসমাইল হোসেনের নিকট থেকে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ৫ লাখ টাকা ও তাড়াশ উপজেলা সদরের খিদির চন্দ্র সাহার ছেলে রতন কুমার সাহার নিকট থেকে ২০২২ সালে ২০ লাখ টাকা হাওলাত গ্রহণ করেন। পাওনা টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিলো। নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হন মমতাজ মহল। পরবর্তীতে এনিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে মমতাজ মহল মামলার বাদীদের তাড়াশ শাখার পূবালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের একটি করে ভুয়া চেক দেন। বাদীরা চেক গুলো তার নিজ হিসাবে জমা দিলে চেক গুলো ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে মমতাজ মহলকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু মমতাজ মহল বাদীদের পাওনা অর্থ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদীরা অর্থঋণ আদালতে পৃথক তিনটি মামলা করেন। মামলায় আদালত মমতাজ মহলকে এক বছর করে মোট তিন বছরের কারাদণ্ড ও চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমাণ জরিমানা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে মমতাজ মহল মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন রায় ঘোষনার সময় তিনি আদালতের বাইরে ছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে রায়ের আদেশ শুনে বাড়িতে চলে এসেছেন। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |