খালেদা জিয়া বলেছেন
রাজনীতিতে এসেছিলাম শহীদ জিয়ার আদর্শের পতাকা হাতে
আজাহার আলী সরকার
|
খালেদা জিয়া পুতুল একজন শতভাগ দেশপ্রেমিক এবং সৎ রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তাও অতুলনীয়। এসব কারণে তাঁকে অনেক ভুগতে হয়েছে, এখন আরো বেশী হচ্ছে। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর কারাবন্দী। তারপর আবার অসুস্থ । তাঁর অসুস্থ্যতা এবং কারাবন্দীর সংবাদে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষসহ ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভীষণ দু:খ- কষ্ট পেয়েছি, আল্লাহ্-র অশেষ কৃপায় মুক্তি পেয়েছেন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ্য হতে তাঁর বিদেশে সুচিকিৎসার প্রয়োজন। খুব শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকায় যাচ্ছেন । এরপরও আমি ব্যক্তিগত সবসময় চাই অন্তত আরেকটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যেন অংশ নেয়ার সুযোগ তিনি পান। জেনে যান এখনো তাঁকে কতোটা ভালোবাসে দেশের মানুষ। এই মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করি আমরা সবাই। দোয়া করি দেশের সকল রোগাকান্ত মানুষের জন্যও। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৮৪ সালে একজন গৃহবধু থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহন করে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মধ্য দিয়ে এদেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আপোষহীন নেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। রাজনীতিতে আসা সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বহুবার বলেছেন, “আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের পতাকা হাতে নিয়ে। আমার সংগ্রাম শুরু হয়েছিলো তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্য নিয়ে। আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশ ও জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে একাকার করে ফেলেছি। আমার নিজের কোনো পৃথক আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাই আমার আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে। আমার জীবন পুরোপুরি জড়িয়ে গেছে এদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যয়ের সঙ্গে। তাদের সুখ-দুঃখ ও উত্থান-পতনের সঙ্গে। দেশের মানুষের জীবনের চড়াই-উৎরাই ও সমস্যা-সংকটের সঙ্গে। তাদের বিজয়, বিপর্যয় এবং সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে। দেশজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গেই একাকার হয়ে গেছে আমার বর্তমান ও ভবিষ্যত।”
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |