আত্মীয়করণের কারণেই দলীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত কর্মীরা: মিলটন আহমেদ বাদল
শামীম শেখ
|
যারা আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ, জীবন-যৌবন দিয়েছে তারা অবহেলিত শুধুমাত্র এই আত্মীয়করণের কারণে। এমনটাই মনে করেন মিলটন আহমেদ বাদল। নতুন সময়কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো কথা বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের এই ত্যাগি নেতা। নতুন সময় : রাজনীতিতে বর্তমান আপনার অবস্থান কী, কীভাবে আসলেন এ অবস্থানে? মিলটন আহমেদ বাদল : বর্তমানে আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্বে আছি। আমি পারিবারিকভাবেই রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্নে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। মূলত নূরনবী চৌধুরী শাওন ভাইয়ের হাত ধরে আমার ছাত্র রাজনীতি শুরু। ছাত্রলীগ রমনা থানার সহ-সভাপতি ছিলাম। পরবর্তীতে একটানা ১৯ বছর রমনা থানার অন্তর্গত ৫৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম ২০০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। নতুন সময়: বর্তমানে আপনার সংগঠনের মূল সমস্যাগুলো কী এবং এর সমাধান কী? মিলটন আহমেদ বাদল: বর্তমানে সংগঠনের উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে দলের কর্মীরা কোনরূপ সহযোগিতা পায় না, বিরোধী দলের নেতারা টাকার জোরে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। এমপি মন্ত্রীরা তো আর কর্মীদের কোন খোঁজ খবরই রাখে না। সবক্ষেত্রে আত্মীয়করণ হয়ে গেছে যারা আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ, জীবন যৌবন দিয়েছে তারা অবহেলিত শুধুমাত্র এই আত্মীয়করণের কারণে। নতুন সময়: সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনার পরিকল্পনা কী? মিলটন আহমেদ বাদল: সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যেতে আমার দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে আমি এগুলো নিয়ে গবেষণা করছি। নতুন সময়: সংগঠন করতে এসে আপনি কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন? মিলটন আহমেদ বাদল: দলের ক্রান্তিলগ্নে জেল জুলুমসহ থানার লিস্টেট ইনকাউন্টারের আসামি ছিলাম। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমার হাত ভেঙে গেছে। ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় সংগঠনকে সক্রিয় করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বিঘা পৈত্রিক সম্পদ বিক্রি করি । নতুন সময়: সংগঠন থেকে আপনার চাওয়া পাওয়া কী? মিলটন আহমেদ বাদল: আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা আসলে সংগঠন থেকে কিছু চাই না সিনিয়র নেতারা আমাদের খোঁজখবর নিলেই আমরা খুশি। নতুন সময়: দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু বলুন। মিলটন আহমেদ বাদল: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তিনি সবসময় একটা আতঙ্কে থাকে কারণ তার চারপাশে শত্রুর অভাব নেই তারপর ও তিনি অত্যন্ত সাহসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলে অচিরেই এ দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দুর্নীতিবাজদের ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হওয়া জরুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন দুর্নীতিবাদের যেন কোনোভাবেই ছাড় দেয়া না হয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। নতুন সময়: ধন্যবাদ আপনাকে। মিলটন আহমেদ বাদল: নতুন সময়কে ও ধন্যবাদ। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |