বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি পেশ করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- ১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২. ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। ৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। ৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা-ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'চাকরিতে কোটা, আমরা মানি না', 'স্বাধীন বাংলায় কোটার কোনো স্থান নেই', 'বাংলার খবর দাও, কোটা প্রথাকে কবর দাও', 'কোটা বাদ দাও' ইত্যাদি স্লোগান দেয়। সিস্টেম মরে যাক, মেধাবীরা মুক্ত হোক'
এসময় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ কোটা ব্যাবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে অন্যদিকে কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই।