ভারতের নীমস্ ইউনিভাসিটির শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রেরণা দিলেন ড. মো. সবুর খান
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এইউএপি)-এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. সবুর খান ভারতের নীমস ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে গ্লোবাল ভিশন ডায়ালগ: চ্যান্সেলর কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে ‘এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইন অ্যাকশন’ শীর্ষক বিশেষ সেশনে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত তরুণদের শিক্ষাক্ষেত্র থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রেরণা যোগান এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন রকমের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ড. মো. সবুর খানের এই সেশনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে নীমস ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. বলবীর এস. তমার- উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউএসএ-এর চেয়ারম্যান এবং চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিফ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাজারে উদ্যোক্তা তৈরির চিন্তা থেকে ড. খান দীর্ঘ সময় ধরে দেশে উদ্যোক্তা তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্মের ব্যবসায়ীক দক্ষতা বৃদ্ধি, বাজারের গুণগত পরিবর্তন এবং তরুণদের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রেণের মাধ্যমে দেশের শিল্প-বাজারের আরও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছেন ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিঃ নামের বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক লিস্টেড তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জনক ড. মো. সবুর খান। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই), অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সহ দেশের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠনকে সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন তিনি। নীমস ইউনিভার্সিটির এই অনুষ্ঠানে ড. খান- এর দীর্ঘ জীবনের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের আলোড়িত করে। পাশাপাশি ড. মো. সবুর খানের তরুণ বয়সেই চাকরিতে যোগ না দিয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স (১৯৯০ সালে) প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার সুপার শপ চালুর ঘটনা (১৯৯৫ সালে) শিক্ষার্থী এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার। এছাড়া উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের প্রস্তত করে তোলার জন্যই তিনি তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ’ বিভাগ চালু করেন। ড. খান তার বক্তব্যে তরুণ মেধা ও উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তাবান্ধব বাজার সৃষ্টিতে সবাইকে কাজ করার পরামর্শ দেন। বাজারের বর্তমান সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ও বাস্তবভিত্তিক সমাধানের দিকে এগিয়ে তরুণ প্রজন্মকে অর্থনীতির হাল ধরার জন্য আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসময় তিনি উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, আধুনিক অর্থনীতির চাহিদা পূরণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তোলার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্যোক্তা তৈরির একটি শক্তিশালী পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |