ড্যাফোডিল 'প্যারেন্টস ডে' শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের আবেগঘন মুহূর্ত
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
তরুণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের আবেগঘন এক মুহূর্তের সাক্ষী হলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘প্যারেন্টস ডে’ অনুষ্ঠানে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক শিক্ষার্থীরা অঝোরে ফেলেছেন চোখের পানি। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নে এবং শিক্ষক-ছাত্র-অভিভাবক, এই ত্রি-মাত্রিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) সাভারের বিরুলিয়ায় বিশ^বিদ্যালয়টির স্বাধীনতা মিলনায়তনে ‘আর্ট অব লিভিং’ কোর্সের একটি অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় আয়োজনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংচিল মিউজিক অ্যান্ড অ্যাসিক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং হামিদ গ্রুপের সিইও আসিফ ইকবাল। তাছাড়া বিশ^বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নাদির বিন আলী সহ শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিনির্মাণে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রয়োজন মূল্যবোধের উন্নয়ন এবং মানবিকতার অনুশীলন। সমাজ এবং দেশের চিন্তা করার জন্য প্রথমে নিজের পরিবার এবং আপন মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য ‘আর্ট অব লিভিং’ কোর্সের অংশ হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এটি নিয়মিত আয়োজন। দিনব্যাপী এই আয়োজনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের তাদের বাবা-মা’র উদ্দেশ্যে না বলা অভিব্যক্তি ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন, আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক স্বরুপ নিজ নিজ পিতা-মাতার পা ধুয়ে দেয়া এবং সর্বোপরি পরিবারের সঙ্গে সারাদিন নিজ ক্যাম্পাসেই সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়। এসময় অধিকাংশ অভিভাবকরাই নিজেদের সন্তানকে গভীর মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরেন। আর্ট অব লিভিং কোর্সের একটি শিক্ষা হিসেবে বর্তমান সময়ের পারিবারিক দূরত্ব ঘুচিয়ে- আবারও সেই বন্ধনকে সুদৃঢ় করার যে প্রয়াস- সেটাকে সাধুবাদ জানায় অভিভাবকরা। এসময় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল বলেন, সাধারণত বাসায় সময় কাটালেও, এভাবে কখনো বাবার পা ধুয়ে দেয়ার মতো সুযোগ পাবো- সেটা ভাবিনি। তাছাড়া তাকে বলতে গিয়ে অনেক কথাই প্রতিদিন বলা হয়ে উঠে না। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাবা-মা’কে ধন্যবাদ জানাতে পেরে নিজেকে প্রচন্ড হালকা লাগছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আসিফ ইকবাল বলেন, ‘পারিবারিক সম্পর্ক কী জিনিস তা বুঝতে আমাদের বড্ড দেরি হয়ে যায়। আমার সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে আমার বাবা-মা’র অনুপ্রেরণা জড়িত। এই মানুষগুলো হারিয়ে গেলে মানুষের জীবনের কঠিন বাস্তবতাগুলো চোখের সামনে চলে আসে।’ বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এসময় সব শিক্ষার্থীদের তাদের বাবা-মা’র অনুশাসন মেনে চলার ব্যাপারে বিভিন্ন রকম দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়া নিজেদের পড়াশোনার অংশ হিসেবেই পারিবারিক বন্ধনকে সর্বাধিক মূল্যায়ন করার ব্যাপারেও জোর দেন তিনি। একাডেমিক এই শিক্ষার পাশাপাশি অভিভাবককে এই তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করার আহ্বান জানান বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. সবুর খান। এই জন্য এই তরুণ শিক্ষার্থীদের শুধু চাকরি নয়, বরং এখন থেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও নজর দেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এসময় বিশ^ব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করেন ড. মো. সবুর খান এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তার চেষ্টা ও তার পিতা-মাতার ভূমিকাও তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের কাছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |