বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে কোনো ক্রিকেটার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বোর্ডের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বিসিবি। তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ইস্যুতে সময় সংবাদে এমন মন্তব্য করেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে কাউকে ছোট করার মানে নেই। এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ।
সম্প্রতি মোবাইলভিত্তিক ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের একটি ক্যাম্পেইনে কাজ করতে গিয়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তামিম-মিরাজের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে সম্প্রতি আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। মোবাইলভিত্তিক ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের একটি ক্যাম্পেইনে কাজ করতে গিয়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তারা। বিজ্ঞাপনের জন্য নীতি-নৈতিকতা বিসর্জনেও যেন কুণ্ঠাবোধ নেই ক্রিকেটারদের, এমন প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে নগদের ওই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসবে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস করা হয় তামিমের। ফাঁস করা ফোনালাপে মুশফিকুর রহিম এবং মিরাজকে নানা হুমকি-ধামকি দিতে শোনা যায় তামিমকে। ফাঁসকৃত ওই ফোন কল নিয়ে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ পর্যন্ত প্রকাশ করেছে। তবে একদিন পর জানা যায় নগদের ক্যাম্পেইনের জন্য এই ফোনালাপ ফাঁস করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) মুশফিক, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে এই তথ্য জানিয়েছেন তামিম নিজেই।
বিজ্ঞাপনের কথা বলে দর্শকদের আপাতত ঠাণ্ডা করা গেলেও এবার বিসিবির মুখোমুখি হতে হবে ক্রিকেটারদের। তামিম ইকবাল চুক্তির বাইরের ক্রিকেটার হলেও বাকি ৩ ক্রিকেটারকে পড়তে হচ্ছে জবাবদিহির মুখে। কারণ মিরাজ, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা যে বোর্ডের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। বিসিবির আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই ক্রিকেটাররা।
তামিমদের এই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'আমাদের চুক্তিবদ্ধ যেসব খেলোয়াড় আছে তাদেরকে স্পষ্টভাবে নিয়ম জানিয়ে দেয়া আছে। আমি খোঁজ নিব কোনোকিছু লঙ্ঘন হয়েছে কিনা। মানুষকে ছোট করার তো কোনো মানে নেই।'
সাকিব-তামিম গ্রুপিংয়ে গত ১ বছর ধরেই ধরেই সরগরম দেশের ক্রিকেট। এবার সেই গ্রুপিং ইস্যু করেই বিজ্ঞাপন। বিভ্রান্ত হয়ে প্রচারণা গোগ্রাসে গিলেছেন ভক্তরা। আর এখানেই বেজায় আপত্তি তুলেছেন বিসিবি প্রধান।
তিনি বলেন, 'নাটক হোক বিজ্ঞাপন কিংবা সিনেমা, ভালো কিছুও তো করা যায়। গত এক বছর ধরেই ইস্যুটা অনেক আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই এমন কিছু কেন করতে হবে। আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।'
একটা সময় অনেক বড় অপরাধও ব্যক্তি বিশেষে ছোট করে দেখতে যে ক্রিকেট বোর্ড তাদের নীতিনির্ধারকরা এখন বেশ কঠোর। শৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা কোনো ভুলের ছাড় নেই সেই হুঁশিয়ারিই এসেছে বিসিবি প্রধানের কাছ থেকে। এই ইস্যুতে কী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।