|
‘আঁচলে ফল বা পাতা পড়লেই মিলবে সন্তান’
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() ‘আঁচলে ফল বা পাতা পড়লেই মিলবে সন্তান’ শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে দুদিনব্যাপী শুরু হওয়া নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোসাঁই সৎসঙ্গ সেবা আশ্রমের বটবৃক্ষের তলে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন নারী পুকুরে গোসল শেষে ভেজা কাপড়ের আঁচল বিছিয়ে অক্ষয় নামক বটবৃক্ষের নিচে পাতা বা ফল পড়ার প্রতিক্ষায় বসে আছেন। তাদের এমন কর্মকাণ্ড দেখতে ভিড় জমিয়েছেন নারী-পুরুষ দর্শনার্থীরা। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভের আশায় ভিড় জমান এই বটবৃক্ষের নিচে। রাজশাহীর বাঘা থেকে আগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের পাঁচ বছর পর কোনো সন্তান না হওয়ায় লোক মুখে শুনে এখানে এসেছি। এই বটগাছের নিচে আঁচল পেতে বসে ফল বা পাতা পড়লে সন্তান লাভ করা যায়। সেই আশায় আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছি। গাইবান্ধা জেলার সুরলা বালা বলেন, মেয়ের বিয়ের দীর্ঘ ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সন্তান না হওয়ায় লোক মুখে শুনে গোসাই আশ্রমে এসেছি। আমার মেয়ে অক্ষয় বটবৃক্ষের তলে আঁচল পেতে বসলে তার আঁচলে পাতা পড়েছে। সাধুর নিদের্শনা অনুযায়ী সেবন করলে আশা করি সে সন্তান লাভ করবে। আশ্রম কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার জানান, প্রতি বছরের মতো ৩২৭তম নবান্ন উৎসব পালিত হচ্ছে। ১২৭৪ সনে মহেন্দ্র যুগে ভক্তবাদে ফকির চাঁদ বৈষ্ণব অদৃশ্য হন। তবে তিনি দাবি করেন এখানে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান মানত করে সন্তান লাভ করেছেন। আশ্রমের প্রধান সেবাইত পরমানন্দ সাধু জানান, আশ্রমের দক্ষিণে একটি অক্ষয় বটবৃক্ষ আছে। সেখানে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিঃসন্তান নারীরা এসে নবান্নের দ্বিতীয়া তিথিতে স্নান শেষে আঁচল পেতে প্রার্থনা করেন। এ সময় গাছের পাতা ও ফল পড়লে সেটা মানত করে নিয়মানুযায়ী খেলে বাচ্চা বা সন্তান লাভ করেন। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুনজুর রহমান জানান, এভাবে সন্তান লাভ করা অসম্ভব। এটি একটি কুসংস্কার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এর কোনো ভিত্তি নেই। কোনো গাছের পাতা বা ফল খেয়ে সন্তান লাভ করা সম্ভব না। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
