ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯ কার্তিক ১৪৩২
চাচাকে বাবা বানিয়ে কোটায় বিসিএস ক্যাডার, অতঃপর
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Tuesday, 4 November, 2025, 5:32 PM
সর্বশেষ আপডেট: Tuesday, 4 November, 2025, 6:16 PM

চাচাকে বাবা বানিয়ে কোটায় বিসিএস ক্যাডার, অতঃপর

চাচাকে বাবা বানিয়ে কোটায় বিসিএস ক্যাডার, অতঃপর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনের বাবার পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৪ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।

এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে জন্মদাতা বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেন।

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছেন এজাহার দায়েরকারী দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু। মামলার তদন্তের স্বার্থেই এবার ডিএনও টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে দুদক সূত্রে।

মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, মো. কামাল হোসেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। যার পরিচিতি নম্বর-১৮২১৫। প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা বর্তমানে সরকারের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ইতোপূর্বে তিনি সাবেক সিনিয়র সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাগুরা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আত্রাই, জেলা-নওগাঁতে কর্মরত ছিলেন।

দুদক সূত্র বলছে, তার প্রকৃত বাবা-মা হলেন, মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুন এবং তার চাচা-চাচি হলেন মো. আহসান হাবীব এবং মোছা. সানোয়ারা খাতুন। তার চাচা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মো. কামাল হোসেন সুকৌশলে তার প্রকৃত বাবা-মার পরিবর্তে আপন চাচা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনের নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও তার চাচা-চাচির ডিএনএ টেস্ট করার জন্য কমিশন বরাবর আবেদন দাখিল করেন। কমিশন তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মো. কামাল হোসেনসহ তার প্রকৃত বাবা-মা ও তার চাচা-চাচির ডিএনএ টেস্ট করার জন্য অনুমোদন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের ডিএনএ টেস্ট করবেন।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status