|
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্কপ'র গণ-অনশন
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
|
![]() চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্কপ'র গণ-অনশন শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এই অনশন শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এখানে বিদেশি অপারেটরের কোনো প্রয়োজন নেই। স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা। অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে। এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে স্কপ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া গত ২৭ অক্টোবর ঢাকায় একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
